বিনম্র শ্রদ্ধায় অমর একুশে পালিত
বৈষম্যহীন সমাজ গড়ে তোলার প্রত্যয়

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১:০৪ পিএম
-67b8b23a50a73.jpg)
যথাযোগ্য মর্যাদায় মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস পালিত হয়েছে। মায়ের ভাষা বাংলার জন্য যারা প্রাণ দিয়েছেন, সেই শহিদদের বিনম্র শ্রদ্ধায় স্মরণ করেছে পুরো জাতি।
বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুরু হয় ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি’ গানে শহিদ মিনারমুখে নগ্নপদে প্রভাতফেরির যাত্রা। কালো পোশাকে শোকের স্মৃতিচিহ্ন, হাতে শ্রদ্ধার ফুল; সারিবদ্ধভাবে খালি পায়ে ধীরগতিতে চলা। ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়া সেসব অকুতোভয় ‘যোদ্ধা’র প্রতি শ্রদ্ধাবনত সব শ্রেণি-পেশার মানুষের পথ যেন মিশে যায় ঢাকার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন তারা। দাবি জানান সর্বস্তরে বাংলা ভাষা চালুর। একুশের প্রভাতফেরির পথযাত্রায় সবার কণ্ঠে সেই কালজয়ী গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি, আমি কি ভুলিতে পারি’।
এদিকে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ও এর আশপাশ এলাকায় ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চার স্তরের নিরাপত্তা। তবে অন্যবারের মতো তেমন কড়াকড়ি ছিল না। ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী শহিদ মিনারের এক কিলোমিটার এলাকায় পোশাকধারী বাহিনীর পাশাপাশি সাদা পোশাকেও নিয়োজিত ছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। বিভিন্ন পয়েন্টে মেটাল ডিটেক্টর, আর্চওয়ে বসিয়ে দেহ তল্লাশিও করা হয়েছে। ডিবি, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনীর সদস্যদের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকতে দেখা গেছে।
পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে বাঙালির প্রথম প্রতিরোধের প্রতীক মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস এবার এমন সময়ে এলো, যখন ছাত্র-জনতার আরেক রক্তাক্ত গণ-অভ্যুত্থান পেরিয়ে ‘নতুন বাংলাদেশ’ গঠনের স্বপ্নের কথা বলা হচ্ছে। রাজধানীতে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার ঘিরে জুলাই-আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের আবহের মধ্যে বৃহস্পতিবার প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা নিবেদনে শুরু হয় ভাষা নিয়ে গর্ব আর শোকের এই দিন পালনের কর্মসূচি।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন : একুশের প্রথম প্রহরে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষাশহিদদের প্রতি পৃথকভাবে গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা। রাত ১২টা ১ মিনিটে প্রথমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এরপর রাত ১২টা ১২ মিনিটের দিকে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। তিনি ভাষাশহিদদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
এর আগে শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টাকে স্বাগত জানান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ, অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, বিভিন্ন দেশের কূটনীতিক, প্রধান নির্বাচন কমিশনার এএমএম নাসির উদ্দীন, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ-জামান, নৌবাহিনীর প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান এবং বিমানবাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল হাসান মাহমুদ খাঁন পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানান।
এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার শ্রদ্ধা জানায়। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বিএনপিপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন (সাদা দল), জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তি এবং বিভিন্ন ছাত্রসংগঠন শ্রদ্ধা জানায়।
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে রাত ১২টা ৪০ মিনিটের পর শ্রদ্ধা জানাতে সর্বস্তরের জনগণের জন্য শহিদ মিনার উন্মুক্ত করে দেওয়া হয়। এ সময় সব সড়কের জনস্রোত এসে মিশে যায় শহিদ মিনারের পথে। শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে বিভিন্ন রাজনৈতিক, সংস্কৃতিক, সামাজিক সংগঠনসহ অন্যরা শ্রদ্ধা নিবেদন করতে আসেন। শিশু থেকে বৃদ্ধ- সবার কণ্ঠে ছিল আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর অমর সৃষ্টি অবিনাশী গান- ‘আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারি/আমি কি ভুলিতে পারি...।’ রাত শেষে ভোর, সকাল পেরিয়ে দুপুর গড়ালেও মানুষের সেই ঢল যেন থামার নয়। গৌরবের মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে এসেছিলেন ধর্মবর্ণনির্বিশেষে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।
জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার তুমুল আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে একুশে ফেব্র“য়ারিতে এবার কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে ভাষাশহিদদের শ্রদ্ধা জানানোর আয়োজনে ছিল সেই অভ্যুত্থানের ছাপ। প্রতিবছর শহিদ মিনার এলাকার দেওয়ালে বিভিন্ন স্লোগান, কবিতা ও গানের লাইন লেখা হলেও এবার ভিন্ন প্রেক্ষাপটে সেখানে জায়গা করে নিয়েছে গ্রাফিতি। কোনো কোনো দেওয়ালের ওপরে ব্যানার টানানো হয়েছে, যেগুলোয় বিভিন্ন গান ও কবিতার লাইন কিংবা নানা স্লোগানে একুশকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
ফুলে ফুলে ভরে যায় দেশের হাজারো শহিদ মিনার : শুধু কেন্দ্রীয় শহিদ মিনার নয়, শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে ফুলে ফুলে ভরে ওঠে দেশের হাজারো শহিদ মিনারের বেদি। এমনকি প্রত্যন্ত গ্রামে, পাড়ায়-পাড়ায় গড়ে ওঠা অস্থায়ী স্মৃতির মিনারও এদিন ভরেছে শ্রদ্ধার ফুলে। নগ্নপায়ে সারি সারি মানুষ হেঁটেছেন একপথে কাঁধে কাঁধ, কণ্ঠে কণ্ঠ মিলিয়ে। একুশের চেতনা আজ জাতীয় থেকে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। তাই বাংলাদেশের মতো পৃথিবীর বিভিন্ন দেশেও দিবসটি পালন করা হয়েছে যথাযোগ্য মর্যাদায়। ভাষাশহিদদের প্রতি তারাও জানিয়েছেন শ্রদ্ধাঞ্জলি। বাঙালির ভাষাসংগ্রামের একুশ এখন বিশ্বের সব ভাষাভাষীর অধিকার রক্ষার দিন।
গৌরবের মিনারে শ্রদ্ধা জানানো ছাড়াও দিনটি পালনে ছিল নানা আয়োজন। ছিল ফাতেহাপাঠ, কুরআনখানি, প্রার্থনা, আলোচনা সভা, সেমিনার, বিভিন্ন প্রতিযোগিতা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। এসবে একদিকে মহান শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা, অন্যদিকে ছিল মাতৃভাষাকে সর্বস্তরে প্রতিষ্ঠার দাবি। আর কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের সেই ঢলের বড় অংশই আসে একুশে বইমেলায়। বিকালে মেলায় তাই ছিল উপচে পড়া ভিড়।
সরেজমিন দেখা যায়, বৃহস্পতিবার রাত ১০টার পর থেকেই কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারের আশপাশে হাজারো মানুষ জড়ো হতে থাকেন। কারও পরণে কালো পোশাক, কারও বুকে কালো ব্যাজ। কী শাড়ি, কী পাঞ্জাবি- কোনোটিতে বর্ণমালা, কোনোটিতে ভাষা শহিদদের নাম-ছবি, কোনোটিতে নানা স্লোগান, শহিদ মিনার, কালোর বুকে রক্তরঙের ছটা। শাহবাগ, দোয়েল চত্বর, পলাশী, আজিমপুর, নীলক্ষেত, চানখাঁরপুলসহ শহিদ মিনারে যাওয়ার প্রবেশপথে কেবলই মানুষের মিছিল, গান আর কবিতা। শুক্রবার ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা পরিণত হয় জনসমুদ্রে। বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শুরু হয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভাতফেরি।
বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন : মহান শহিদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। এ সময় বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, হাবিব-উন-নবী খান সোহেল, আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক নাসির উদ্দীন আহমেদ অসীম, প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে রুহুল কবির রিজভী বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারির চেতনা অম্লান। যদি আবারও কোনো ফ্যাসিজমের উত্থান ঘটে, একুশে ফেব্রুয়ারি আমাদের দামাল ছেলেদের, এ দেশের জনগণকে আবারও রাজপথে লড়াইয়ে নামতে উদ্বুদ্ধ করবে। এরপর ছাত্রদল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দলসহ বিএনপির বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠন ও এর থানা কিংবা ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মীরা পর্যায়ক্রমে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
নাগরিক কমিটি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শ্রদ্ধা : শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় জাতীয় নাগরিক কমিটি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হোসেন, মুখপাত্র সামান্তা শারমিন, মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম, যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, সারোয়ার তুষার, সহ-মুখপাত্র মুশফিক উস সালেহীন প্রমুখ। ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল, মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, দপ্তর সম্পাদক জাহিদ আহসান প্রমুখ। একুশে ফেব্রুয়ারির প্রথম প্রহরে শ্রদ্ধা জানান এ দুই সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ : শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ। এ সময় পরিষদের সদস্য সচিব সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরী বলেন, একুশের মর্মবাণী হচ্ছে মাথা নত না করা। অধিকার ও দেশের মালিকানা নিজেদের রাখা। কিন্তু বাক্স্বাধীনতা, গণতন্ত্র, ভোটাধিকার হরণসহ দেশের মানুষকে নানাভাবে অধিকারহীন করে ১৭ বছর একুশের চেতনাকে ভূলুণ্ঠিত করা হয়েছে। ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে।
বিভিন্ন দলের শ্রদ্ধা : এরপর একে একে ভাষাশহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে আসে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি (বিজেপি), আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি), গণঅধিকার পরিষদ, গণফোরাম, বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), গণতান্ত্রিক বাম মোর্চা, গণসংহতি আন্দোলন, মুক্তি কাউন্সিল, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন, জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, বাংলাদেশ স্কাউট, গণবিশ্ববিদ্যালয়, উদীচী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন ও দুর্নীতি দমন কমিশন।
শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, নির্বাচন কমিশন, বিএসএমএমইউ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ, ছাত্র ইউনিয়ন, ছাত্রমৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট, বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন, সুশাসনের জন্য নাগরিক, পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলন-পবাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন।
শহিদ মিনার থেকে বইমেলায় : সরেজমিন আরও দেখা যায়, শহিদ মিনারে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর অনেকেই ঘুরে বেড়িয়েছেন বইমেলা, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ রাজধানীর বিভিন্ন পার্ক ও উন্মুক্ত স্থানে। সরকারি ছুটি থাকায় অনেকেই পরিবারের সদস্য ও বন্ধুদের নিয়ে শহিদ মিনার ও বইমেলায় যান। তাদের পোশাকে ছিল একুশের ছোঁয়া। অনেকের মুখ ও হাতে, বাহুতে আঁকা ছিল শহিদ মিনার। শিশুরাও শহিদ মিনারে যান মা-বাবার হাত ধরে ভালোবাসার ফুল নিয়ে।
ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার মো. সরোয়ার বলেন, ব্যাপক লোকসমাগম হবে, এজন্য আগে থেকেই সাতটি পয়েন্ট রোড ব্লকার দিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। শুক্রবার বেলা ৩টা পর্যন্ত বকশীবাজার থেকে জগন্নাথ হল ক্রসিং, চানখারপুল থেকে রমনা চত্বর ক্রসিং, টিএসসি থেকে শিববাড়ী ক্রসিং এবং উপাচার্য ভবন থেকে ভাস্কর্য ক্রসিং সড়কে যানবাহন প্রবেশ বন্ধ ছিল।