রমজান ও ঈদে ‘মানি এস্কর্ট’ সেবা দেবে পুলিশ

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৫:১৭ পিএম

পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদেরকে ‘মানি এস্কর্ট’ সেবা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পবিত্র রমজান মাস ও ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ক্রয়-বিক্রয়, ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থের লেনদেন ও স্থানান্তর বৃদ্ধি পাবে।তাই কোনো ব্যক্তি, ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান অধিক পরিমাণ অর্থ স্থানান্তরের জন্য পুলিশের সহায়তা প্রয়োজন মনে করলে তাদেরকে এস্কর্ট সেবা দেবে ডিএমপি।এ ক্ষেত্রে পুলিশ এস্কর্ট প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে যানবাহনের সংস্থান করতে হবে।সহায়তা প্রত্যাশী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে সংশ্লিষ্ট থানা অথবা পুলিশ কন্ট্রোলরুমে যোগাযোগ করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হলো।
কন্ট্রোল রুমের নম্বরগুলো হলো- ফোন: ২২৩৩৮১১৮৮, ০২৪৭১১৯৯৮৮, ০২৯৬১৯৯৯৯, ০১৩২০-০৩৭৮৪৫, ০১৩২০-০৩৭৮৪৬; জাতীয় জরুরি সেবা: ৯৯৯।
এ ছাড়া অর্থ উত্তোলন ও স্থানান্তরের ক্ষেত্রে কিছু বিষয় মেনে চলার জন্য ডিএমপির পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হয়েছে।
সেগুলো হলো- ১. বড় অংকের অর্থ একা বহন না করে সঙ্গে অতিরিক্ত একাধিক বিশ্বস্ত ব্যক্তি রাখা যেতে পারে। অর্থ বহন সংক্রান্ত কোনো তথ্য আগেই অন্যকে জানানো থেকে বিরত থাকতে হবে।২. পায়ে হেঁটে অথবা রিকশায় অর্থ বহনের পরিবর্তে গাড়িতে অর্থ বহন করা যেতে পারে।৩. নগদ অর্থ বহনের পূর্বে নিশ্চিত হতে হবে যেন আপনার দোকান বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কেউ দুষ্কৃতকারীদের না জানিয়ে দেয়।৪. দৈনিক নগদ অর্থ বহনের প্রয়োজন হলে মাঝে মাঝে ভিন্ন ভিন্ন পথ ব্যবহার করা যেতে পারে যেন দুষ্কৃতকারীরা পূর্বেই ওত পেতে থাকার সুবিধা নিতে না পারে।৫. অর্থ বহনের সময় ব্যাগ এমনভাবে ব্যবহার করতে হবে যেন বাইরে থেকে বোঝা না যায়। এতে দুষ্কৃতকারীরা প্রলুব্ধ হওয়ার সুযোগ পাবে না।৬. সমস্ত টাকা একসঙ্গে না রেখে বিভিন্ন জায়গায় যেমন- পকেটে, ব্যাগে, সঙ্গীয় ব্যক্তির কাছে ভাগ করে রাখা যেতে পারে।৭. গলি কিংবা নির্জন পথ ব্যবহারের পরিবর্তে অপেক্ষাকৃত ব্যস্ত সড়ক ব্যবহার করা যেতে পারে।৮. ট্রাফিক সিগন্যাল বা জ্যামে পড়লে অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হবে।৯. সিসি ক্যামেরা আছে এমন ব্যাংকের সঙ্গে লেনদেন করার চেষ্টা করতে হবে। ব্যাংক থেকে বের হওয়ার পর বুঝার চেষ্টা করতে হবে সন্দেহজনক কেউ আপনাকে অনুসরণ করছে কিনা।১০. বড় অঙ্কের অর্থ পরিবহণের কাজটি রাতে না করে দিনের বেলায় সম্পন্ন করা যেতে পারে।১১. এটিএম বুথের অভ্যন্তরে থাকা কোনো গোপন ক্যামেরায় আর্থিক লেনদেনে ব্যবহৃত গোপন নম্বরটি ধারণ করা হচ্ছে কিনা- সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।১২. এক ব্যাংক থেকে অন্য ব্যাংকে টাকা ট্রান্সফারের কাজটি চেকের মাধ্যমে সম্পন্ন করা যেতে পারে।১৩. বড় অংকের টাকা পরিবহণে প্রয়োজনে পুলিশ এস্কর্ট সেবা গ্রহণ করুন।