ঢাকা থেকে ভারতে গেল আরেক বিমান, যাত্রীদের নিয়ে রওনা হলো দুবাই

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০৭:০০ পিএম

৩৯৬ জন যাত্রী ও ১২ জন ক্রু নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে বুধবার রাতে রওয়ানা দিয়েছিল বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট।কিন্তু হঠাৎ যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দেয় উড়োজাহাজটিতে।পরে মাঝরাতে ভারতের নাগপুরে বিমানটির জরুরি অবতরণ করানো হয়।পরে ঢাকা থেকে আরেকটি উড়োজাহাজ সেখানে গিয়ে বৃহস্পতিবার বিকালে যাত্রীদের নিয়ে দুবাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছে।
নাগপুর বিমানবন্দরের সিনিয়র এয়ারপোর্ট ডিরেক্টর আবিদ রুহি বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নাগরপুর বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানায়, এয়ারক্র্যাফটে কিছু ‘টেকনিক্যাল ত্রুটি’র কারণেই এই ইমার্জেন্সি ল্যান্ডিংয়ের ব্যবস্থা করা হয়েছিল।সম্ভাব্য অগ্নিকাণ্ড মোকাবিলার জন্য ল্যান্ডিংয়ের আগেই নাগপুর মিউনিসিপ্যাল করপোরেশনের দমকল বিভাগের একটি টিমকে বিমানবন্দরে প্রস্তুত রাখা হয়েছিল।
নাগপুরের চিফ ফায়ার অফিসার বি পি চন্দনখেড়ে জানান, আমাদের টিম টারম্যাকে তৈরি ছিল ঠিকই। তবে শেষ পর্যন্ত তাদের অগ্নিনির্বাপণের কোনো কাজ করতে হয়নি।অর্থাৎ বিমানে টেকনিক্যাল বা যান্ত্রিক ত্রুটির ঘটনা ঘটলেও তা থেকে সৌভাগ্যবশত কোনো আগুন লাগেনি।
বিমানটি জরুরি অবতরণের পর যাত্রীদের বাবাসাহেব আম্বেদকর এয়ারপোর্টের টার্মিনাল বিল্ডিংয়েই রাত কাটাতে হয়। কারণ, তাদের কারো প্রায় ভারতের ভিসা ছিল না।ফলে ইমিগ্রেশন ক্লিয়ার করিয়ে তাদের স্থানীয় কোনো হোটেলে রাখার ব্যবস্থা করাও সম্ভব হয়নি।
এদিকে যাবতীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষার শেষে ত্রুটিপূর্ণ বিমানটিকে ‘ফিট টু ফ্লাই’ বা আবারো আকাশে ওড়ার যোগ্য বলে ঘোষণা দেন বিশেষজ্ঞরা।কিন্তু ওই বিমানের পাইলটদের একটানা প্লেন চালানোর সময়ের মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়ায় নতুন ক্রু মেম্বারদের আসার জন্য অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তারা পৌঁছলে ওই বিমানটিও রাতেই নাগপুর ছেড়ে রওনা দেবে।সূত্র: বিবিসি বাংলা