গণপরিষদ নির্বাচনের লড়াই আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছি: নাসীরুদ্দীন

যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ০১:৫৮ এএম

ফাইল ছবি
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী জানিয়েছেন, নতুন সংবিধান রচনার ও গণপরিষদ নির্বাচনের লড়াই তারা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছেন।
শনিবার রাজধানীর বেইলি রোডে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেওয়ার পর সাংবাদিকদের একথা বলেন তিনি।
নাসীরুদ্দীন বলেন, ‘এ মাসেই যে ছাত্রদের একটি বড় দল আসছে বাংলাদেশের ইতিহাসে; আপনারা জানেন যে, এখন জনমত জরিপের কাজ চলছে। আমাদের রাজনৈতিক লাইনটা কী হবে সেটা আজকে আমরা ব্যক্ত করেছি (জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে)।
তিনি বলেন, ‘আমরা আজকের (শনিবার) বৈঠকে বলেছি, আমাদের দলের রাজনৈতিক লাইন হবে নতুন সংবিধান রচনার জন্য আমাদের লড়াই। আমরা বাংলাদেশে ফ্যাসিবাদকে মুক্ত করেছি। নতুন করে আর যেন কোনো ফ্যাসিবাদ বাংলাদেশে আসতে না পারে, সেজন্য ফ্যাসিবাদের কফিনে লাস্ট পেরেক মারার জন্য আমরা নতুনভাবে প্রধান উপদেষ্টাসহ রাজনৈতিক দলের সামনে বলেছি যে, বাংলাদেশে নতুন সংবিধান রচনার ও গণপরিষদ নির্বাচনের লড়াই আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করেছি।’
নাসীরুদ্দীন নতুন দল গঠনের কথা তুলে ধরে বলেন, ‘সরকার সংস্কারের আনুষ্ঠানিক লড়াই শুরু করেছে, আমরা নতুন সংবিধানের লড়াই শুরু করেছি। আমরা যে বিষয়গুলো বলেছি, জুলাই চাটার্ডকে একটি আইনি প্রক্রিয়ায় মধ্য দিয়ে (প্রণয়ন করতে হবে); যাতে পরে ধারাবাহিকভাবে যে সরকার আসবে তারাও যাতে বাধ্যবাধকতার মধ্যে শেষ কর্মদিবস পর্যন্ত (তা) চালিয়ে যায়। আমরা বলেছি বাংলাদেশের জনগণের মুক্তি নিহিত হবে যদি আমরা বাংলাদেশে নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারি। কারণ বাহাত্তর সালের যে সংবিধান রয়েছে, এ সংবিধানের মধ্যে বহুদলীয় গণতন্ত্র অসম্ভব এবং দেশে শান্তি শৃঙ্খলা, জনগণের যে ঐক্যের জায়গাটা যেটা দিন দিন বিনষ্ট হচ্ছে।’
নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক বলেন, আওয়ামী লীগের বিষয়ে কীভাবে একটি বিচার প্রক্রিয়ার মাধ্যমে জনগণের সামনে একটি উন্মুক্ত দৃশ্যমান বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে আসা যায় সেই বিষয়ে আমরা কথা বলেছি। আমরা বলেছি, গণপরিষদ নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচন দুইটা একসঙ্গে চলতে পারে এবং সংস্কারের কাজগুলোও একসঙ্গে চলতে পারে। আমরা দৃপ্ত কণ্ঠে এ বিষয়গুলো সেখানে সব দলের সামনে উপস্থাপন করেছি। বাংলাদেশের শেষ মুক্তির লড়াই বা এদেশের ভবিষ্যৎ একমাত্র আমরা একটি গণপরিষদের মাধ্যমে নতুন সংবিধান উপহার দিতে পারি।