Logo
Logo
×

অন্যান্য

বিবিএস’র চূড়ান্ত জরিপ প্রতিবেদন

শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে শেরপুরের হাজং জনগোষ্ঠী

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৫:৫২ পিএম

শিক্ষায় এগিয়ে যাচ্ছে শেরপুরের হাজং জনগোষ্ঠী

শেরপুরে ২০ হাজার ৮৪০ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষ বাস করে। প্রত্যেক পরিবারে ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ মানুষ বাস করে। এই জনগোষ্ঠীর মধ্যে ৬৪ দশমিক শূন্য ৮ শতাংশ শিক্ষিত। এরমধ্যে পুরুষ ৬৯ দশমিক ১৩ শতাংশ এবং নারী ৫৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ শিক্ষিত। সবচেয়ে বেশি শিক্ষার হার হাজং জনগোষ্ঠীর। এই জনগোষ্ঠীর পুরুষদের মধ্যে ৭৯ দশমিক ২ শতাংশ এবং নারী ৬৮ দশমিক ৩ শতাংশ শিক্ষিত। 

শেরপুর জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীদের আর্থ-সামাজিক অবস্থা জরিপ ২০২৩-এর চূড়ান্ত প্রতিবেদনে এসব তথ্য তুলে ধরা হয়। 

মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) রাজধানীর আগারগাঁও বিবিএস সম্মেলন কক্ষে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করা হয়। জরিপটি পরিচালনা করে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)।

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের সভাপতিত্বে প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের সচিব মাহবুব হোসেন। 

বিশেষ অতিথি ছিলেন সংস্কৃতিবিষয়ক অতিরিক্ত সচিব ফরহাদ সিদ্দিক, পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব হামিদুল হক, শেরপুর জেলা প্রশাসক তরফদার মাহমুদুর রহমান। প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন প্রকল্পটির পরিচালক ফারহানা সুলতানা।

বক্তব্য দেন- প্রভার্টি ফোকাল পয়েন্ট মহিউদ্দিন আহমেদ, যার অনুরোধে এই জরিপটি করা হয়।আরও বক্তব্য দেন শেরপুরের সাবেক জেলা প্রশাসক সাহেলা আকতার প্রমুখ। প্রশ্ন ও উত্তর পর্ব পরিচালনা করেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের যুগ্ম সচিব দীপঙ্কর রায়।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শেরপুরের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর কর্মসংস্থানের হার ১৫ থেকে বেশি বছর বয়সের মানুষের মধ্যে ৫১ দশমিক ৮৪ শতাংশ। এরমধ্যে ঝিনাইগাটি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৫২ শতাংশ এবং নারী ৪৯ দশমিক ২১ শতাংশ। নকলা উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৩ দশমিক ৩৩ শতাংশ এবং নারী ২০ দশমিক ৯২ শতাংশ। নালিতাবাড়ি উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৬৩ দশমিক ৪১ শতাংশ এবং নারী ২৬ দশমিক ৮৬ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৬ দশমিক ১৫ শতাংশ এবং নারী ১৯ দশমিক শূন্য ৭ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় কর্মসংস্থানে যুক্ত পুরুষ ৭৪ দশমিক ৮১ শতাংশ এবং নারী ২৯ দশমিক ২১ শতাংশ।  

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে বেকারের হার ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ। ঝিনাইগাটি উপজেলায় বেকার পুরুষ ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক ৪৬ শতাংশ। নকলা উপজেলায় বেকার পুরুষ ৪ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ। নালিতাবাড়ি উপজেলায় বেকার পুরুষ ৩ দশমিক ৫৬ শতাংশ এবং নারী ৪ দশমিক ৬১ শতাংশ। শেরপুর সদর উপজেলায় বেকার পুরুষ ৪ দশমিক ৮৪ শতাংশ এবং নারী ৭ দশমিক ১০ শতাংশ। শ্রীবরদী উপজেলায় বেকার পুরুষ ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ এবং নারী ৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, শেরপুর জেলায় ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর মধ্যে প্রতিবন্ধীর হার এক দশমিক ৮৪ শতাংশ। এরমধ্যে সবচেয়ে বেশি নালিতাবাড়িতে ২ দশমিক ৫১ শতাংশ এবং সবচেয়ে কম শেরপুর সদরে এক দশমিক ১৫ শতাংশ।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী মানুষের মধ্যে বাংলায় কথা বলে সবচেয়ে বেশি ৪২ দশমিক ২৫ শতাংশ। দ্বিতীয় গারো ভাষায় কথা বলে ৩১ দশমিক ৬২ শতাংশ। তৃতীয় অবস্থানে কোচ ভাষায় ১০ দশমিক ৬৪ শতাংশ।

প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী জনগণের মধ্যে ৩৬ দশমিক ৯১ শতাংশ মানুষ ভাত ও মাছ খায়। নাগারাই খায় শূন্য দশমিক ২০ শতাংশ, সিংজু খায় শূন্য দশমিক ২২ শতাংশ, সিনজিডা খায় শূন্য দশমিক ১৪ শতাংশ, নামপি খায় শূন্য দশমিক ৭৭ শতাংশ, শামুক খায় ১৪ দশমিক ১৬ শতাংশ, কাঁকড়া খায় ১৭ দশমিক ৫৬ শতাংশ, কচ্ছপ খায় ৯ দশমিক ২৭ শতাংশ, কুচিয়া খায় ১৯ দশমিক ৭২ শতাংশ এবং অন্যান্য খাবার খায় এক দশমিক শূন্য ৫ শতাংশ।

এ ছাড়া ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপূজা। দুর্গাপূজা পালন করে ৩৬ দশমিক শূন্য ৪ শতাংশ মানুষ। দ্বিতীয় অবস্থানে ক্রিসমাস ডে পালন করে ২৫ দশমিক ৩০ শতাংশ মানুষ। তৃতীয় অবস্থানে ওয়ানগালা উৎসব পালন করে ১৯ দশমিক ৪৯ শতাংশ মানুষ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম