Logo
Logo
×

অন্যান্য

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৯:২৮ পিএম

পিলখানা হত্যাকাণ্ডে জেলবন্দি বিডিআর সদস্যদের মুক্তির দাবি

বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার পুনঃতদন্ত, জেলবন্দি সব বিডিআর সদস্যের মুক্তি ও চাকরিতে বহালের দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের সদস্যরা।

বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শহিদ মিনার প্রাঙ্গণে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত বিডিআর পরিবারের সদস্যরা অবস্থান কর্মসূচিতে এসব দাবি জানান।

কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের সব বিডিআর জেলবন্দিদের মুক্তি দিতে হবে। পিলখানা হত্যাকাণ্ডে মিথ্যা মামলা বাতিল, চাকরিচ্যুতদের চাকরিতে পুনঃবহাল ও পুনঃবাসন এবং প্রজ্ঞাপনে ‘ও’ ধারা বাতিলসহ পিলখানা হত্যা মামলায় পুনঃতদন্ত এবং ন্যায়বিচার দাবি করেন তারা।

বক্তারা আরও বলেন, ‘বিডিআরের ১৮৫১৯ জন চাকরি হারিয়েছেন, বন্দি রয়েছেন ৮৩৪ জন। ইতোমধ্যে ৫৪ জন জেলে এবং ৪৭ জন রিমান্ডে মারা গেছেন। আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, এই অবিচার বন্ধ করে আমাদের প্রিয়জনদের মুক্তি দিন এবং তাদের চাকরি ও সম্মান ফিরিয়ে দিন। বিডিআর বিদ্রোহ বাংলাদেশের ইতিহাসে একটি গভীর ক্ষত, যা বিগত সরকারের রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক ব্যর্থতার চরম উদাহরণ। বিদ্রোহের সময় ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা নিহত হন, যা দেশের সামরিক শক্তিকে মারাত্মকভাবে দুর্বল করেছিল।’

বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, ‘ওই সময়কার সরকার বিদ্রোহ দমনে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে ব্যর্থ হয় বরং বিদ্রোহকারীদের সঙ্গে দরকষাকষি এবং সমঝোতার মাধ্যমে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করা হয়, যা পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তোলে। বিশেষ করে, ভারতের ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার নামে কিছু বিষয় এড়িয়ে যাওয়া হয়েছে বলে তারা মনে করেন। তাছাড়া বিডিআরকে বিজিবি নামকরণ করার সিদ্ধান্ত মূলত বিদ্রোহের ঘটনাকে আড়াল করার একটি প্রচেষ্টা। ঐতিহ্যবাহী বিডিআর নামের সঙ্গে দেশের ইতিহাস ও গৌরব জড়িয়ে আছে।’

অবিলম্বে বক্তারা এই নাম পুনর্বহালের আহ্বান জানিয়ে বলেন, বিডিআর’র গৌরব ফিরিয়ে আনতে হলে এর মূল নামকেই ফিরিয়ে আনতে হবে।কর্মসূচি থেকে একটি প্রতিনিধিদল প্রধান উপদেষ্টার কাছে স্মারকলিপি জমা দেয়। এতে নিহত সদস্যদের সম্মান ফিরিয়ে আনা এবং ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোর পাশে দাঁড়ানোর জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়।

কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন- বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ড. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণের আহ্বায়ক ইসমাইল সম্রাট, সম্মিলিত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সমন্বয়ক আয়াতুল্লাহ বেহেস্তি এবং লেবার পার্টির কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক মো. মিরাজ খান প্রমুখ।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : আবদুল হাই শিকদার

প্রকাশক : সালমা ইসলাম