সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্বের তথ্য চেয়ে তিন দপ্তরে চিঠি

যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ জানুয়ারি ২০২৫, ১০:৫৩ পিএম

সরকারি কর্মচারীদের দ্বৈত নাগরিকত্ব বা পাসপোর্টের তথ্য চেয়ে সরকারি তিন দপ্তরকে চিঠি দিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দপ্তরগুলো হলো ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর, পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চ এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগ।
বুধবার বিষয়টি নিশ্চিত করেন দুদকের মহাপরিচালক আক্তার হোসেন।
চিঠিতে বলা হয়, সম্প্রতি লক্ষ করা যাচ্ছে, কতিপয় দুর্নীতিবাজ সরকারি কর্মচারী তথ্য গোপন করে ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট গ্রহণ ও ব্যবহার করছেন। চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে শাস্তি অথবা আইনগত পদক্ষেপ এড়ানোর লক্ষ্যে তারা ভিন্ন দেশের পাসপোর্ট ব্যবহার করে সেসব দেশে অবস্থান করছেন। সন্দেহভাজন এসব ব্যক্তি নিজেদের আইনি পদক্ষেপ থেকে রক্ষা করাসহ নিজেদের অপকর্ম ঢেকে রাখার প্রয়াস চালাচ্ছেন। তাদের এ ধরনের কার্যকলাপ সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮ এর ৪০ ধারার সম্পূর্ণ পরিপন্থি।
দুদক মহাপরিচালক বলেন, দুর্নীতি দমন কমিশন কর্তৃক পরিচালিত বিভিন্ন অনুসন্ধানকালে এ মর্মে তথ্য পাওয়া গেছে যে, সরকারি কর্মচারীদের একাধিক পাসপোর্ট গ্রহণের মূল লক্ষ্যই হলো বাংলাদেশে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্জিত তাদের অবৈধ সম্পদ গোপন করে বিদেশে পাচার ও ভোগ করা। তাদের এমন কার্যকলাপ দেশে দুর্নীতির প্রসারে ভূমিকা রাখছে এবং দেশের অর্থনীতিকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। তাছাড়া ভিন্ন একটি দেশে নাগরিকত্ব গ্রহণের পর বাংলাদেশের সরকারি চাকরির নৈতিক দায়দায়িত্বের প্রতি তাদের অনাগ্রহ পরিলক্ষিত হয়, যা কোনোক্রমেই বাঞ্ছনীয় নয়।
তিনি জানান, দণ্ডবিধির ২১ ধারা, দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭-এর ২নং ধারা এবং ব্যাংক কোম্পানি আইন, ১৯৯১-এর ১১০ ধারাসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সব আইন অনুযায়ী প্রতিরক্ষা বিভাগে কর্মরত সব কমিশন্ড অফিসার; আদালতে কর্মরত কর্মচারী ও বিচারক; সরকারি রাজস্ব খাত থেকে বেতনভুক্ত সব কর্মচারী; স্বায়ত্তশাসিত, স্বশাসিত, আধা-সরকারি বা রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন কোম্পানিতে কর্মরত সব পর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং বিভিন্ন পর্যায়ে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে বিবেচিত হন।
চিঠিতে তিন দপ্তরের প্রধানদের উদ্দেশে বলা হয়, এ প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশে বিভিন্ন সময় গণকর্মচারী অথবা তাদের পোষ্য কর্তৃক দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণের বিষয়ে আপনার দপ্তরে রক্ষিত তথ্যাদি পর্যালোচনা করা একান্ত আবশ্যক। এমতাবস্থায়, বিভিন্ন সময়ে দ্বৈত নাগরিকত্ব গ্রহণ করা পাবলিক সার্ভেন্টদের পাসপোর্ট ও এতদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্য প্রেরণ করার জন্য নির্দেশক্রমে অনুরোধ করা হলো।

