‘বিগত সরকারের সময় ভূমিসেবা ছিল অনিয়ম-দুর্নীতির নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:২০ পিএম
ভূমি সিনিয়র সচিব এএসএম সালেহ আহমেদ বলেছেন, ‘বিগত সরকারের সময় ভূমিসেবায় অনিয়ম, দুর্নীতি ও হয়রানি ছিল নিত্যনৈমিত্তিক বিষয়। বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার এ অপবাদ থেকে বেরিয়ে এসেছে। ভূমি খাতকে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে ঘরে ঘরে ভূমি নাগরিক সেবা নিশ্চিতকরণে কাজ করছে।
তিনি বলেন, দালালমুক্ত জনবান্ধব ভূমিসেবা কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এজেন্ট নিয়োগ ও সহায়ক কেন্দ্র গড়ে তোলা হবে।তিনি জানান, আগামী এক বছরের মধ্যে ড্রোনের মাধ্যমে ডিজিটাল পদ্ধতিতে পূর্বাচলের সব মৌজার জরিপ কাজ সম্পন্ন করা হবে।
ভূমি সচিব শনিবার নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের পূর্বাচল রাজউক সাইট কার্যালয় চত্বরে ভূমি মন্ত্রণালয়ের ভূমির রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তর (ডিএলআর) এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
উপজেলার ১৭টি মৌজার মধ্যে পাইলটিং হিসেবে মাইজগাও মৌজার খানাপুরি, বুজারত ও তসদিক খতিয়ান বিনামূল্যে বিতরণ কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়।
ডিএলআর মহাপরিচালক মহ. মনিরুজ্জামানের সভাপতিত্বে এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. সিদ্দিকুর রহমান সরকার, ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব আবু বকর ছিদ্দিক, জিয়াউদ্দিন আহমেদ, পরিচালক মো. মমিনুর রশীদ ও ঢাকার জেডএসও মো. মিজানুর রহমান।
পরে ভূমি সচিব ও রাজউক চেয়ারম্যান ভূমি মালিকদের মাঝে বিনামূল্যে খতিয়ান বিতরণ করেন।
জানা গেছে, গেজেটকৃত ১৭টি মৌজা থেকে পাইলটিং হিসেবে প্রথমে রুপগঞ্জ উপজেলার মাইঝগাও মৌজাটিতে ডিজিটালাইজড ভূমি জরিপ শুরু করা হয়েছে।জিপিএস পিলার স্থাপন করে জিএনএসএস’র সহায়তায় পিলারের কো-অর্ডিনেট নির্ণয় করা হয় এবং ড্রোনের মাধ্যমে আর্থোমোজাইক ইমেজ প্রস্তুত করা হয়।
মাইঝগাও মৌজাতে জরিপ কার্যক্রমের স্তরভিত্তিক ধাপ অনুসারে ইতোমধ্যে কিস্তোয়ার, খানাপুরী, বুঝারত, তসদিক কার্যক্রম চলমান রয়েছে। মৌজাটির মোট এরিয়া ২৪৮.৮৭ একর, যেখানে রাজউকের প্লট রয়েছে ১৭৮৬টি। ধারাবাহিকভাবে সব ভূমি মালিকদেরকেই খানাপুরী-বুঝারত-তসদিক খতিয়ান বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে।