Logo
Logo
×

অন্যান্য

বিমানবন্দরে সম্পাদক নুরুল কবীরকে হয়রানি

কর্মকর্তা প্রত্যাহার, দুঃখ প্রকাশ এসবির

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৫৫ পিএম

কর্মকর্তা প্রত্যাহার, দুঃখ প্রকাশ এসবির

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নুরুল কবীরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করেছে পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি)।ইতোমধ্যে এ ঘটনায় অভিযুক্ত কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে এ ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু করেছে সংস্থাটি। 

রোববার প্রধান উপদেষ্টার দপ্তরের প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে এসবির ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা যুগান্তরকে জানিয়েছেন, বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্ব সহকারে তদন্ত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে যে কর্মকর্তা সম্পাদক নুরুল কবীরকে হয়রানি করেছেন তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছে। তবে তদন্তের স্বার্থে অভিযুক্ত কর্মকর্তার নাম প্রকাশ করেননি তিনি। 

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, পুলিশের বিশেষ শাখা জানিয়েছে বিগত শেখ হাসিনা সরকারের শাসনামলের ‘ব্লকড লিস্ট’-এর কারণে এই দুর্ভাগ্যজনক ঘটনাটি ঘটেছে। এ তালিকায় কয়েক হাজার লোককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, যাতে করে তাদের বিদেশ সফরের সময় আটকে দেওয়া যায় বা বিদেশ ভ্রমণ থেকে বিরত রাখা যায়। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর পুলিশের বিশেষ শাখা আগের তালিকা থেকে রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ, ভিন্নমতাবলম্বী, সাংবাদিক ও অধিকারকর্মীদের বাদ দিতে শুরু করে। কাজটির রবশির ভাগই হাতে-কলমে করা হচ্ছে। ফলে কিছু ভিন্নমতাবলম্বী ও সাংবাদিকের নাম এখনো রয়ে গেছে। তালিকাটি দ্রুত যাচাই করে সংশোধনের চেষ্টা করা হচ্ছে। বিশিষ্ট সাংবাদিক ও সম্পাদক নুরুল কবীরকে হয়রানির ঘটনায় দুঃখ প্রকাশ করে এসবি জানায়, পুলিশ জনগণের বন্ধু। দেশ ও জনগণের সেবায় পুলিশ বাহিনী দৃষ্টান্ত গড়তে চায়।

প্রসঙ্গত, সাংবাদিক নূরুল কবির কলম্বোতে এশিয়া মিডিয়া ফোরামে অংশ নিতে ১৮ নভেম্বর শ্রীলংকা গিয়েছিলেন। ২২ নভেম্বর দেশে ফেরেন তিনি। শনিবার নিজের  ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে অভিযোগ করেন, সম্প্রতি ঢাকায় হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরে তিনি হয়রানির শিকার হয়েছেন। 

নূরুল কবির লিখেছেন, ‘দুই দশকের বেশি সময় ধরে যতবার বিদেশে গিয়েছি, প্রতিবারই ঢাকার বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ আমাকে হয়রানি করেছে। নানাভাবে হয়রানি করা হয়েছে। কখনো গোয়েন্দা কর্মকর্তারা পাসপোর্ট নিয়ে গেছেন, নথিপত্রে সব তথ্য থাকার পরও কেন বিদেশে যাচ্ছি, তা নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মুখোমুখি হতে হয়েছে। প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষায় রাখা হয়েছে, আমার পাসপোর্টের পৃষ্ঠার ছবি তোলা হয়েছে, যা আমার ব্যক্তিগত গোপনীয়তার লঙ্ঘন। অনেক সময় নথিপত্র নিয়ে ফ্লাইট ছাড়ার কয়েক মিনিট আগে তা ফেরত দেওয়া হয়েছে। তবে কখনোই দেশে ফেরার সময়ে এসব ঘটনার মুখোমুখি হতে হয়নি।’ 

ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘একটি মিডিয়া কনফারেন্সে যোগ দিতে ১৮ নভেম্বর বিদেশে যাচ্ছিলাম। আশা করেছিলাম, বিমানবন্দরে আমাকে হয়রানির দিন শেষ হয়ে গেছে অন্তত কিছু সময়ের জন্য। কিন্তু আমি ভুল ভেবেছিলাম। বরং এবার আমাকে দ্বিগুণ হেনস্তার শিকার হতে হয়েছে। যাওয়ার দিন এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। ২২ নভেম্বর ফেরার সময় আবারও এক ঘণ্টা অপেক্ষা করিয়ে রাখা হয়। দেশপ্রেমিক হওয়াটা দেশের গোয়েন্দা সংস্থার সন্দেহে থাকার বিষয়। সংশ্লিষ্ট গোয়েন্দা সংস্থা ও সরকারে যারা তাদের তত্ত্বাবধান করেন, তাদের দেশপ্রেম নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলতে বাধ্য হচ্ছি।’

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম