Logo
Logo
×

অন্যান্য

অকৃষি লিজকৃত ভূমির নামজারি ও খাজনা নেওয়ার দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৯ নভেম্বর ২০২৪, ১১:০৩ পিএম

অকৃষি লিজকৃত ভূমির নামজারি ও খাজনা নেওয়ার দাবি
দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তীয় অকৃষি খাসমহল ভূমির হস্তান্তর প্রক্রিয়া দ্রুততর ও সহজ করতে ২০০৫ এবং ২০১১ সালের পরিপত্র বাতিল করে ১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপন বহালের মাধ্যমে নামজারি ও খাজনা গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি দাবি জানিয়েছেন পুরানা পল্টন এবং সেগুনবাগিচা খাসমহল ভূমির ভুক্তভোগী মালিক কমিটি।

মঙ্গলবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তারা।

সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনের সভাপতি আবু খালিদ মোহাম্মদ বরকতউল্লাহ লিখিত বক্তৃতায় বলেন, ১৯২৪ সালে পল্টন ও সেগুনবাগিচাসহ ঢাকার আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় বসতি গড়ে তোলার জন্য অকৃষি পতিত জমিগুলো দীর্ঘমেয়াদি লিজ বরাদ্দ দেয় তৎকালীন সরকার। তারপর ১৯৫৪ সালে ভূমি মালিকরা প্রথমবার তা নবায়ন করেন। পরবর্তীতে ১৯৮৫ সালে একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানানো হয় পূর্বতন খাসমহলের চিরন্তন নবায়নযোগ্য দীর্ঘমেয়াদি লিজকৃত অকৃষি খাস জমিগুলো স্থায়ী বন্দোবস্ত বলে বিবেচিত হবে এবং ভবিষ্যতে তা আর নবায়নের প্রয়োজন হবে না।পরবর্তীতে ২০ বছর পর ভূমি মালিক ও সংশ্লিষ্ট সরকারি দপ্তরগুলোর অজ্ঞাতসারে ১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপনটি বাতিল করে ২০০৫ সালে আরেকটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অথচ এই ২০ বছরে প্রায় প্রতিটি ভূমি মালিকানা পরিবর্তনসহ বিভিন্নভাবে বিবর্তন করা হয়।কিন্তু যারা লিজ নবায়নের জন্য আবেদন করেছিলেন, তা আর নবায়নের প্রয়োজনীয়তা নেই বলে সরকারের পক্ষ থেকে তাদেরকে লিখিতভাবে জানানো হয়। 

ভুক্তভোগী মালিকরা জানান, ১৯৮৫ সালের পরিপত্র বাতিল করায় ভূমি, ফ্ল্যাট, অফিস স্পেস বিক্রি না হওয়ায় অনেক ভূমিতে ডেভেলপার কর্তৃক ভবন নির্মিত হয়। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন কাজ বন্ধ থাকায় ফ্ল্যাট ক্রেতারা অর্থ পরিশোধ করছেন না, ব্যাংক বা অর্থলগ্নী প্রতিষ্ঠানগুলোর কাছ থেকে গৃহায়ণ ঋণ পাওয়া যাচ্ছে না। যার ফলে প্রজেক্টের কাজও শেষ হচ্ছে না। এতে ভূমির মালিক বাড়ি ছাড়া হয়ে ভাড়া আয় থেকে বঞ্চিত, ফ্ল্যাট মালিকরা তাদের জীবনের সঞ্চয়টুকু ফ্ল্যাটে বিনিয়োগ করেও ফ্ল্যাট পজিশন বুঝে পাচ্ছেন না। আবার কেউ কেউ ফ্ল্যাট বুঝে পেলেও রেজিস্ট্রেশন না হওয়ায় নামজারি-খাজনা করাতে পারছেন না। ২০০৫ ও ২০১১ সালে জারিকৃত পরিপত্রের মাধ্যমে তৎকালীন সরকার দেশের বিপুল সংখ্যক নাগরিককে পারিবারিক, সামাজিক, আর্থিক ও বিভিন্ন আইনি জটিলতার দিকে ঠেলে দিয়েছে। মতিঝিল, পল্টন, সেগুনবাগিচা, রমনা, কাকরাইল, ওয়ারী, গেন্ডারিয়াসহ ঢাকার বেশ কয়েকটি এলাকায় সরকারের দীর্ঘমেয়াদি বন্দোবস্তীয় খাসমহল ভূমির মালিকরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে দিনাতিপাত করছেন, বর্তমানে নিজের ভিটা-ভূমিতেই উদ্বাস্তুু অবস্থায় আছেন। 

তারা অবিলম্বে ২০০৫ সাল ও ২০১১ সালের সব পরিপত্র বাতিল করে ১৯৮৫ সালের প্রজ্ঞাপনটি বহাল রেখে ওই লিজকৃত ভূমিগুলোর নামজারি ও খাজনা পরিশোধের ব্যবস্থা গ্রহণ করে নির্বাহী আদেশের মাধ্যমে এই বিশাল ভুক্তভোগী জনমানুষকে অসহায় অবস্থা থেকে মুক্তি দিতে ছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে গঠিত বর্তমান সরকারের প্রতি দাবি জানান।

সংবাদ সম্মেলনে এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের সদস্য বরকত উল্লাহ, খন্দকার আব্দুর রব ও হাজী ওসমান গনি প্রমুখ।
Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম