বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন গত ৪ আগস্ট ধানমন্ডির জিগাতলায় শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকিকে হত্যার ঘটনায় দায়ের করা মামলার আসামিদের গ্রেফতারের দাবি জানিয়েছেন মামলার বাদী ফাইয়াজ আহমেদ রাতুল।

একইসঙ্গে কারান্তরীণ আসামিদের এই হত্যা মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো ও মামলার বাদীর পরিবারকে হুমকি দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়েছে তিনি।

মঙ্গলবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি সাগর রুনি মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান তিনি।

লিখিত বক্তব্যে রাতুল বলেন, গত ১৮ সেপ্টেম্বর সিএমএম আদালতে তিনি মামলাটি দায়ের করেন। এই মামলায় প্রধান আসামি করা হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। এছাড়াও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, সাবেক পাট ও বস্ত্রমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার হারুন অর রশিদ, যুগ্ম কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের মালিক দিলীপ কুমার আগারওয়ালা, রূপায়ন গ্রুপের চেয়ারম্যান লিয়াকত আলী খানসহ ২৪ জনের নাম এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এজাহারে আরও উল্লেখ করা হয়, জিগাতলা এলাকায় শান্তিপূর্ণ সমাবেশ পালনকালে আসামিদের নির্দেশনা, পরিকল্পনা এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ মদদে আওয়ামী লীগ কার্যালয় থেকে অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে সমাবেশের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে নির্বিচারে গুলি চালানো হয়। এই ঘটনায় হাবিবুল্লাহ বাহার ডিগ্রি কলেজের শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ সিদ্দিকি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরবর্তীতে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। আব্দুল্লাহ সিদ্দিকির পরিবারকে চাপ প্রয়োগে কোনোরূপ ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফনে বাধ্য করা হয়।

তিনি আরও বলেন, মামলা দায়েরের পর থেকে আসামিরা বিভিন্নভাবে বাদীকে নানা হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি বাদীর পরিবারকে প্রাণে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হচ্ছে। ফ্যাসিস্ট সরকারের কতিপয় পুলিশ কর্মকর্তা এখনো বাহিনীতে থাকায় আসামিদের গ্রেফতার করা হচ্ছে না। মামলার বেশকিছু আসামি এখনো রাজধানীতে প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। অবলিম্বে এসব আসামিদের গ্রেফতারে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন মামলার বাদী।