রূপপুর ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি বাতিলের দাবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৫৭ পিএম
জ্বালানি খাতের লুটপাটের হাতিয়ার দায়মুক্তি আইন বাতিল, ওই খাতের দুর্বৃত্তদের বিচারসহ রূপপুর ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি বাতিলের দাবি জানিয়েছেন বিশিষ্টজনেরা। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ ও গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে অগ্ৰাধিকার দিতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে ‘বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত : বর্তমান পরিস্থিতি ও করণীয়’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এসব কথা বলেন তারা। এ সময় আয়োজক সংগঠন তেল-গ্যাস-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির পক্ষ থেকে ৬ দফা দাবি জানানো হয়।
গোলটেবিল বৈঠকে বক্তৃতা করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক এমএম আকাশ, জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও তেল-গ্যাস-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির সভাপতি আনু মুহাম্মদ, কনজুমার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক শামসুল আলম, অধ্যাপক মোশাহিদা সুলতানা, অধ্যাপক আনিস চৌধুরী প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জুলফিকার আলী।
বক্তারা বলেন, জাতীয় স্বার্থবিরোধী চুক্তি ও দুর্নীতির জন্য দায়ী মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, সচিব, উপদেষ্টাসহ জ্বালানি অপরাধীদের বিচারের আওতায় আনাসহ জ্বালানি ও বিদ্যুৎ খাতকে লুটেরামুক্ত করে জাতীয় সক্ষমতা বৃদ্ধি এবং সুলভ, স্বনির্ভর ও প্রাণ প্রকৃতিবান্ধব নবায়নযোগ্য জ্বালানি মহাপরিকল্পনা করার আহ্বান জানায় তেল গ্যাস খনিজসম্পদ ও বিদ্যুৎ বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটি।
পিএসসি চুক্তি অবিলম্বে বন্ধ করাসহ দায়মুক্তি, রেন্টাল কুইক রেন্টাল বাতিল করতে হবে।জ্বালানি খাতের লুটপাটের হাতিয়ার দায়মুক্তি আইন বাতিল ওই খাতের দুর্বৃত্তদের বিচারসহ রূপপুর ও রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চুক্তি বাতিলের উপায় খুঁজতে হবে। একইসঙ্গে নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগ ও গ্যাস-বিদ্যুৎ খাতে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে অগ্ৰাধিকার দিতে হবে। বিদেশি প্রতিষ্ঠানকে দিয়ে যতটুকু কাজ না করালেই নয়, ততটুকু করার আহ্বানও জানান তারা।
অধ্যাপক আনু মোহাম্মদ বলেন, ভয়াবহ পিএসসি চুক্তি যেন অবিলম্বে বন্ধ হয়, দায়মুক্তি, রেন্টাল কুইক রেন্টাল বাতিল করতে হবে। আমরা পরিবর্তন করতে চাই। এই সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে পরিবর্তনের সূচনা করা। আমরা এই সরকারের কাছে দাবি জানাই, ভয়াবহ চুক্তিগুলো বাতিল করতে হবে। এই সরকারের কয়েকজন সুন্দরবন রক্ষার আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। রামপাল কয়লাবিরোধী আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। আশা করি, তারা এই বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নেবেন। বাংলাদেশের জন্য পারমাণবিক বিদ্যুতের দরকার নাই। রামপাল, রূপপুর বাতিল করতে হবে। এটা বন্ধ না হলে বাংলাদেশের জন্য চরম ক্ষতি হবে।
তিনি আরও বলেন, জ্বালানি অপরাধীদের বিচার করতে হবে। জাতীয় সক্ষমতার বৃদ্ধি এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি- এই দুইয়ের সংমিশ্রণ আমাদের বিদ্যুতের জন্য সব থেকে ভালো। এই দুইয়ের সংমিশ্রণে যদি আমরা এগিয়ে যাই, তাহলে বিদ্যুতের দামও কমবে, পরিবেশেরও ক্ষতি হবে না। একইসঙ্গে আমাদের জাতীয় আত্মবিশ্বাসও বাড়বে।