Logo
Logo
×

অন্যান্য

বিসিএস খাদ্য কারিগরিতে বৈষম্য দূর করতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৫ আগস্ট ২০২৪, ০৬:১৬ পিএম

বিসিএস খাদ্য কারিগরিতে বৈষম্য দূর করতে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি

দেশের সার্বিক খাদ্য নিরাপত্তায় উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা সত্ত্বেও বিসিএস খাদ্য (কারিগরি) ক্যাডাররা নানাভাবে বৈষম্যের সম্মুখীন হচ্ছেন। এসব বৈষম্য দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে একটি স্মারকলিপি দিয়েছেন খাদ্য কর্মকর্তারা। 

বৃহস্পতিবার সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বুধবার ২৬ জন খাদ্য কারিগরি গ্রুপের কর্মকর্তাদের স্বাক্ষরিত এই স্মারকলিপিটি খাদ্য মন্ত্রাণালয়ে জমা দেওয়া হয়। 

স্মারকলিপিতে বলা হয়, বিসিএস খাদ্য (কারিগরি) ক্যাডাররা খাদ্যের (সাধারণ) ক্যাডারদের দ্বারা সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রিত। যে কারণে পদোন্নতি ও পদায়নের ক্ষেত্রে বৈষম্য হচ্ছে। এ ছাড়া নীতিনির্ধারণের ক্ষেত্রে কারিগরি ক্যাডারদের কোনো গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। এমনকি স্বীকৃতি ও সম্মানের ক্ষেত্রেও তারা বঞ্চিত। পাশাপাশি বিভিন্ন নীতিনির্ধারণী ও প্রশাসনিক ক্ষমতার ক্ষেত্রে বৈষম্যের শিকার হওয়ার কারণে সাধারণ গ্রুপের অনুজ কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মান পাচ্ছেন না।

কারিগরি গ্রুপের ক্যাডাররা বলছেন, নানা বৈষম্যের কারণে এখন পর্যন্ত খাদ্য সরবরাহ ও সংরক্ষণে যথাযথ উন্নয়ন হয়নি। নতুন নির্মিত কারিগরি স্থাপনায় পদায়ন বিলম্ব হচ্ছে। পোস্তগোলা সরকারি আধুনিক ময়দা মিলটি ২০১৫ সালে উদ্বোধন করা হলেও সেটির এখনো পদ সৃষ্টি সম্ভব হয়নি। এ ছাড়া আধুনিক খাদ্য সংরক্ষণাগার নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় নির্মিত আধুনিক সাইলোর পদ সৃজনেও দেরি হচ্ছে। পাশাপাশি সাইলো ও সাইলোর কর্মচারীদের বিষয়ে সাধারণ ক্যাডার কর্মকর্তাদের অনীহা থাকার কারণে বর্তমানে সাইলোগুলোর প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ পদ শূন্য হয়ে রয়েছে। এ ছাড়া খাদ্যের প্রশাসন বিভাগে সাইলোর কোনো কর্মকর্তা (প্রকৌশলী) না থাকার কারণে সাইলোর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলি, পদোন্নতি ও পদায়ন এবং অন্যান্য প্রশাসনিক প্রস্তাব সাধারণ ক্যাডাররা তাদের ইচ্ছামতো নিয়ে থাকেন। এতে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যে চেইন অব কমান্ড ভেঙে পড়ছে। 

পাশাপাশি সরকারি বিভিন্ন পুরস্কার, প্রশিক্ষণ, বিদেশ প্রশিক্ষণ ইত্যাদিতে কারিগরি গ্রুপের কর্মকর্তাদের কম বিবেচনায় নেওয়া হচ্ছে। গাড়িসহ অন্যান্য সুবিধাপ্রাপ্তির ক্ষেত্রেও সমতা নেই। রংপুর ও ময়মনসিংহ আঞ্চলিক খাদ্য নিয়ন্ত্রকের (৫ম গ্রেডের পদ) কার্যালয়ে গাড়ি বরাদ্দ করা হলেও ৪র্থ গ্রেডের পদ প্রধান মিলার, পোস্তগোলা সরকারি আধুনিক ময়দা মিল, ময়মনসিংহ ও মধুপুর রাইস সাইলোতে অদ্যাবধি কোনো গাড়ি বরাদ্দ নেই। এ ছাড়া বিসিএস খাদ্য (সাধারণ) গ্রুপের ৬ষ্ঠ গ্রেডের পদ জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রকদের গাড়ির সংস্থান রাখা হলেও একই পদমর্যাদার রক্ষণ প্রকৌশলীদের জন্য কোনো গাড়ির সংস্থান রাখা হয়নি।

এদিকে এই স্মারকলিপিতে কর্মকর্তারা বেশ কিছু দাবিও জানিয়েছেন। এতে বলা হয়েছে, জ্যেষ্ঠতা, ফিডার পদে কর্মকাল পূর্ণ হওয়া ও যোগ্যতা সাপেক্ষে মহাপরিচালক, অতিরিক্ত মহাপরিচালক এবং পরিচালক পদে কারিগরি ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের পদোন্নতি নিশ্চিত করতে হবে। এ ছাড়া প্রশাসন বিভাগ, সংগ্রহ বিভাগ, চলাচল, সংরক্ষণ ও সাইলো বিভাগসহ কারিগরি স্থাপনাগুলোর কার্যক্রমের সঙ্গে সম্পৃক্ত সব বিভাগের বিভিন্ন স্তরে খাদ্য কর্মকর্তাদের পদায়ন নিশ্চিত করতে হবে। আধুনিক সাইলোসহ অন্যান্য কারিগরি স্থাপনাগুলোর নির্মাণকাজ দ্রুত সময়ে সম্পন্ন করা সাপেক্ষে সংশ্লিষ্ট পদে যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করতে হবে। এ ছাড়া রাইস সাইলোতে গম রাখার সিদ্ধান্ত বাতিলসহ খাদ্য সংগ্রহ, খাদ্য সংরক্ষণ এবং সাইলো সংক্রান্ত সব নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে ক্যাডারভুক্ত কর্মকর্তাদের ন্যায্য প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম