আগস্ট মাসে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাসের (এলপিজি) মূল্য বাড়ছে নাকি কমছে, তা জানা যাবে আজ রোববার। এদিন এক মাসের জন্য এলপিজির নতুন দাম ঘোষণা করা হবে। বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের (বিইআরসি) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, সৌদি আরামকো ঘোষিত আগস্ট (২০২৪) মাসের সৌদি সিপি অনুযায়ী এই মাসের জন্য ভোক্তা পর্যায়ে বেসরকারি এলপিজির মূল্য সমন্বয় সম্পর্কে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের নির্দেশনা রোববার বিকেল ৩টায় ঘোষণা করা হবে।
এর আগে গত ২ জুলাই ভোক্তা পর্যায়ে জুন মাসের জন্য ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম এপ্রিল মাসের তুলনায় ৩ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৩৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়। তবে জুলাই ও মে মাসে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম যথাক্রমে ৩০ টাকা ও ৪৯ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৩৬৩ টাকা ও ১ হাজার ৩৯৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আর টানা ৮ মাস বাড়ার পর গত ৩ এপ্রিল ভোক্তা পর্যায়ে কমানো হয়েছিল এলপিজির দাম। মার্চ মাসের তুলনায় এপ্রিল মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৪০ টাকা কমিয়ে ১ হাজার ৪৪২ টাকা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত মার্চ মাসে ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ৮ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৮২ টাকা, ফেব্রুয়ারিতে ৪১ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৭৪ টাকা ও জানুয়ারিতে ২৯ টাকা বাড়িয়ে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
এদিকে, গত জুলাই মাসে এলপিজির পাশাপাশি অটোগ্যাসের দাম বাড়িয়েছিল বিইআরসি। জুলাইতে অটোগ্যাসের দাম জুনের তুলনায় মূসকসহ ১৭ পয়সা বাড়িয়ে নির্ধারণ করা হয় ৬২ টাকা ৭০ পয়সা। তবে জুন, মে ও এপ্রিলে অটোগ্যাসের দামও কমিয়েছিল সংস্থাটি। জুন, মে ও এপ্রিলে যথাক্রমে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬২ টাকা ৫৩ পয়সা, ৬৩ টাকা ৯২ পয়সা ও ৬৬ টাকা ২১ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছিল।
আর মার্চ মাসে ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের মূসকসহ দাম প্রতি লিটার ৬৮ টাকা ৫ পয়সা নির্ধারণ করা হয়। এছাড়া গত ফেব্রুয়ারি ও জানুয়ারি মাসে যা মূসকসহ নির্ধারণ করা হয়েছিল যথাক্রমে ৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা ও ৬৫ টাকা ৬৭ পয়সা।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালে ৫ দফা কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম, আর বেড়েছে ৭ দফা। গত বছরের জানুয়ারি, মার্চ, এপ্রিল, জুন ও জুলাই মাসে কমেছিল এলপিজি ও অটোগ্যাসের দাম। আর দাম বেড়েছিল ফেব্রুয়ারি, মে, আগস্ট, সেপ্টেম্বর, অক্টোবর, নভেম্বর ও ডিসেম্বর মাসে।