ছেলেমেয়েদের কম বয়সে বিয়ে রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়: প্রতিমন্ত্রী রিমি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৫ জুলাই ২০২৪, ০৯:৫৬ পিএম
মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য সিমিন হোসেন রিমি বলেছেন, বাল্যবিবাহ রোধে আমাদের অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। আজকাল মেয়েদের সঙ্গে ছেলেদেরও কম বয়সে বিয়ে হচ্ছে, যা আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদের অপচয়।
শুক্রবার গাজীপুরে কাপাসিয়া উপজেলায় চাঁদপুর ইউনিয়নে ভাওয়াল চাঁদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের দ্বিতীয়, তৃতীয়, চতুর্থ তলা একাডেমিক ভবন এবং চাঁদপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নবনির্মিত একাডেমিক ভবনের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় কিশোর-কিশোরী ক্লাবের মাধ্যমে বাল্যবিবাহ রোধে সচেতনতা বৃদ্ধিসহ শিশু-কিশোরদের মনোজাগতিক উন্নয়ন মেধার বিকাশ সাধনে কাজ করে যাচ্ছে। এ সময় প্রতিমন্ত্রী সবার একযোগে প্রচেষ্টার মাধ্যমে সুন্দর ভবিষ্যতের পথ উন্মোচন করতে কাজ করার আহ্বান জানান।
শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার মাধ্যমে দেশের সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠার আহ্বান জানিয়ে সিমিন হোসেন বলেন, আমাদের ছাত্রদের লেখাপড়ায় মনোযোগী হতে হবে। পড়াশোনার মাধ্যমে দেশের সুনাগরিক হয়ে গড়ে উঠতে হবে। বিদ্যালয়ে যা যা প্রয়োজন আছে, পর্যায়ক্রমে পূরণ করার অঙ্গীকার করেন প্রতিমন্ত্রী।
একইদিন সকালে বাংলাদেশ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর কাপাসিয়া কর্তৃক ফল মেলা উদ্বোধন এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় হতে ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের মধ্যে গৃহনির্মাণ মঞ্জুরি বাবদ ঢেউটিন ও নগদ চেক বিতরণ করেন। একই সঙ্গে রানীগঞ্জ থেকে গাজীপুর পাকারাস্তা হতে ভাঙ্গুড়া মমতাজের বাড়ি পর্যন্ত পাকা রাস্তা শুভ উদ্বোধন করেন।
এদিন গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলায় চাঁদপুর ইউনিয়নে ২নং ওয়ার্ডে মাজেদা বেগম কমিউনিটি ক্লিনিকের উদ্বোধন করেন প্রতিমন্ত্রী সিমিন হোসেন।
এ সময় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পর মা ও শিশু স্বাস্থ্য উন্নয়নে কমিউনিটি ক্লিনিক স্থাপন শুরু করে। কিন্তু ২০০১
সালে বিএনপি-জামায়াত ক্ষমতা আসার পর কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম থেমে যায়। বর্তমানে বাংলাদেশে ১৪ হাজারেরও বেশি কমিউনিটি ক্লিনিক রয়েছে। কাপাসিয়া উপজেলায় ৫৪তম মাজেদা বেগম কমিউনিটি ক্লিনিক আজ উদ্বোধন হলো।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বর্তমানে কাপাসিয়া উপজেলায় সন্তান প্রসবের সময় একটি মা মারা যায় না, যা জাতিসংঘ জনসংখ্যা তহবিল (ইউএনএফপিএ) কর্তৃক বেস্ট প্র্যাকটিস হিসেবে স্বীকৃত।
এ সময় অন্যদের মধ্যে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মাযাহারুল ইসলাম সেলিম, সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব উদ্দিন সেলিম, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা একেএম লুৎফর রহমান উপস্থিত ছিলেন।