কালোটাকা সাদা করার সুযোগের বিরুদ্ধে সরকারদলীয় সদস্যরা
সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ২২ জুন ২০২৪, ১০:৪৬ পিএম
ঢালাওভাবে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার বিপক্ষে মত দিয়েছেন খোদ সরকারদলীয় সংসদ সদস্যরা। তারা বলেছেন, এতে করে বৈধ করদাতাদের মনে অনীহা তৈরি হবে।
শনিবার জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের একাধিক সংসদ সদস্য এ কথা বলেন। অবশ্য কেউ কেউ কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়ার পক্ষেও বক্তব্য দেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ডা. গোপাল দত্ত বলেন, বাজেটে সাদা ও কালোটাকা নিয়ে কথা হয়েছে। একজন করদাতা হিসাবে আমার ৩০ লাখ টাকা থাকলে ৩০ শতাংশের বেশি কর দিতে হচ্ছে। কিন্তু যিনি গত বছর টাকা দেখাননি, ১৫ শতাংশ কর দিয়ে সেই অপ্রদর্শিত আয়কে বৈধ করে নিচ্ছেন। এতে করে সঠিক করদাতারা কর দিতে অনেচ্ছা পোষণ করবেন।
তিনি আরও বলেন, আমরা সবসময় কালো ও সাদা টাকা নিয়ে কথা বলি। কিন্তু ইনফরমাল গ্রে-মানি (কর ফাঁকি সম্পর্কিত) অনানুষ্ঠানিক অর্থনীতি, যার ট্যাক্স দেওয়া হয় না, যাকে কোনো অবস্থানে নিয়ন্ত্রণ করা যায় না- সেটা নিয়ে অর্থমন্ত্রী বাজেট বক্তৃতায় কিছু বলেননি। একে সংকুচিত না করলে অর্থপাচার বন্ধ করা যাবে না।
সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বাজেট আলোচনায় অংশ নিয়ে বলেন, কালোটাকা সাদা করার সুযোগ ঢালাওভাবে দেওয়া ঠিক হবে না। তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি এবং অর্থ পাচার বন্ধ করতে পারলে কালোটাকা সাদা করার সুযোগের আর প্রয়োজন পড়বে না।
সমালোচনার জবাবে গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী বলেন, বাস্তবতা হচ্ছে, কালোটাকা আমাদের মার্কেটে আছে। এ টাকা কীভাবে ব্যবহার করবেন, সেই উপায় কেউ বাতলায় না, সমালোচনা করে। বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সমালোচনা করে বলছেন- এতে নাকি দেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাবে। কিন্তু উনি বলেন না, ২০০৭ (২০০৬ হবে) সালে ওনার নেত্রী খালেদা জিয়া ৫ শতাংশ কর দিয়ে ১ কোটি ৩৩ লাখ ১৪ হাজার ৭১০ টাকা সাদা করেছেন।
জাতীয় পার্টির নুরুন নাহার বেগম বলেন, বাজেটে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ থাকল। এ সুযোগ নিয়ে অনেক অপরাধী দেশের বাইরে টাকা পাঠানোর পাশাপাশি দেশে কালোটাকা সাদা করতে পারবে।