কালোটাকা সাদা করার ক্ষেত্রে যে পরামর্শ এলো সংসদে

সংসদ প্রতিবেদক
প্রকাশ: ০৯ জুন ২০২৪, ০৭:০৪ পিএম

পাচারের কারণে দেশে ডলার সংকট হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য সোহরাব উদ্দিন। তিনি বলেছেন, অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া না হলে অর্থপাচার বন্ধ হবে না। ১৫ শতাংশ কর দিয়ে কালোটাকা সাদা করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে বলে বলা হচ্ছে। আসলে এটা ভুল তথ্য। কালোটাকা সাদা করা নয়, বৈধ অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শনের সুযোগ দেওয়া হয়েছে। এক্ষেত্রে কর ৫ শতাংশ করলেও অসুবিধা নেই। কর যত কমানো হবে, তত বেশি টাকা প্রদর্শিত হবে।
রোববার দ্বাদশ জাতীয় সংসদের তৃতীয় অধিবেশনে ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরের সম্পূরক বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সোহরাব উদ্দিন এসব কথা বলেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে সম্পূরক বাজেটের ওপর সাধারণ আলোচনায় আরও বেশ কয়েকজন সংসদ সদস্য অংশ নেন।
আলোচনায় অংশ নিয়ে সোহরাব উদ্দিন আরও বলেন, ১৫ শতাংশ কর অনেক বেশি। এই হারে অনেকে অপ্রদর্শিত আয় প্রদর্শন করবে না। ১৫ শতাংশ কর দিতে হলে অপ্রদর্শিত আয় কমাতে হবে। তাহলে অপ্রদর্শিত আয়ের প্রদর্শন বেশি হবে। রাষ্ট্রের ট্যাক্স আসবে। দেশে বিনিয়োগের সুযোগ বাড়বে। এক্ষেত্রে আরও সুযোগ দেওয়া যায়। আগে এটি ছিল। ইন্ডাস্ট্রি করতে জমি, মেশিনারিজ কেনার ক্ষেত্রে কোনো প্রশ্ন করা যাবে না।
স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য নাসের শাহরিয়ার জাহেদী বলেন, ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকারের ঋণ নেওয়ার প্রবণতা কমাতে হবে। সরকার বেশি ঋণ নিলে বেসরকারি খাতে ঋণের প্রবাহ কমে যায়। এতে শিল্প-বাণিজ্যের অগ্রগতি বিঘ্নিত হয়। কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয় না।
তিনি আরও বলেন, ২০১৭-১৮ সালে ব্যাংকিং উৎস থেকে সরকার নিয়েছিল ১১ হাজার কোটি টাকার কিছু বেশি। চলতি অর্থবছরে এই ঋণের পরিমাণ এক লাখ ৫৫ হাজার ৯৩৫ কোটি টাকা। এদিকে সরকারের দৃষ্টি দেওয়া দরকার। সরকারের উচিত ব্যাংকিং খাত থেকে ঋণ কম নিয়ে বেসরকারি খাতে ঋণ প্রবাহ বাড়তে দেওয়া।
সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান বলেন, কোনো প্রকল্প নেওয়া হলেই আগে গাড়ি কেনা হয়। এ প্রবণতা থেকে বের হয়ে আসতে হবে। জুন মাস এলে তড়িঘড়ি করে টাকা তোলা হয়।
সংসদ সদস্য নাজমা আক্তার বলেন, বর্তমান সরকারের আামলে দারিদ্র্য অনেক কমেছে। কিন্তু কোভিড ১৯, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের মতো বৈশ্বিক কারণে এখন মধ্যবিত্তের অনেকের সংসার চালাতে কষ্ট হচ্ছে। ন্যায্যমূল্যে টিসিবির ট্রাকে বিভিন্ন দ্রব্য বিক্রি করা হয়। মধ্যবিত্তদের অনেকে এখানে দাঁড়াতেও লজ্জাবোধ করেন। মধ্যবিত্তের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা করা গেলে ভালো হতো।