Logo
Logo
×

অন্যান্য

শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে না দিলে বন্ধের হুমকি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৮ জুন ২০২৪, ১১:০২ পিএম

শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা করতে না দিলে বন্ধের হুমকি

পণ্যের দাম বাড়ায় এনবিআর। কিন্তু বাজারে সেই পণ্যের দাম বেড়ে গেলে ব্যবসায়ীদের পেছনে ম্যাজিস্ট্রেট লাগিয়ে দেওয়া হয়। জরিমানা করা হয়, লাঞ্ছিত করা হয়। তাই হয় আমাদের শান্তিপূর্ণভাবে ব্যবসা-বাণিজ্য করতে দেন। তা না হয় আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে বলেন, আমরা ব্যবসা বন্ধ করতে রাজি আছি বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

ঈদুল আজহা সামনে রেখে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সঙ্গে শনিবার ঢাকাস্থ মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির নেতাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। সভায় ব্যবসায়ীদের প্রতিনিধিরা এসব কথা বলেন।

এ সময় প্রধান অতিথি ছিলেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রেজওয়ানুর রহমান, বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ, মৌলভীবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক হাজি মো. গোলাম মওলা প্রমুখ।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেন, দাম বাড়ার কথা না থাকলেও অযৌক্তিকভাবে বাজারে কারসাজি করে কিছু পণ্যের দাম বাড়ানো হচ্ছে। বিগত রোজায় দেখা গেছে, কিছু পণ্যের চাহিদাকে পুঁজি করে বাজার অস্থির করা রাখা হয়েছিল। তেমনিভাবে কুরবানি এলেই গরম মসলার দাম বাড়ে। গত এক মাসে গরম মসলার দাম বেড়েছে ৭০ শতাংশ। এভাবে দাম বাড়ার কথা নয়। তাহলে নিশ্চয়ই বাজারে কোনো কারসাজি হচ্ছে। মানুষের এ নিয়ে অনেক অভিযোগ আছে। কেউ অযৌক্তিকভাবে দাম বাড়ালে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।

বাংলাদেশ পাইকারি গরম মসলা ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি হাজী মো. এনায়েত উল্লাহ বলেন, পণ্য অঅমদানিতে বিভিন্ন স্তরে শুল্ক দিয়ে দাম বাড়ায় এনবিআর। ফলে পণ্যের দাম মার্কেটে বেড়ে গেলে আমাদের পেছনে ম্যাজিস্ট্রেট লাগিয়ে দেওয়া হয়। জরিমানা করা হয়। তদারকি সংস্থার উদ্দেশে তিনি বলেন, নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকার জন্য ব্যবসায়ীদের লাঞ্ছিত করছেন। জায়গায় জায়গায় অপদস্থ করাচ্ছেন। এটা কোনোভাবেই উচিত না। কারণ আমরাও তো মানুষ। আমাদেরও মানসম্মান আছে। 

এলসি খোলা নিয়ে এনায়েত উল্লাহ বলেন, ব্যবসা করতে আমাদের অনেক কষ্ট করে এলসি খুলতে হয়। ডলার কিনতে হয়। ১০০ শতাংশ মার্জিন জমা দিতে হয়। এই বিষয়গুলোতে সরকার কোনোভাবেই আমাদের সাহায্য করে না। আমরা সম্পূর্ণ নিজের চেষ্টায় নিজের টাকায় নিজেরা ব্যবসা করি। এখানে আমাদের যদি আপনারা সব সময় চার্জ করেন, আমাদেরকে হুমকি দেন, তাহলে আমাদের ব্যবসা বন্ধ করে দিতে হবে। 

হাজী মো. গোলাম মওলা বলেন, ডলার সংকট ও এলসি খোলার সমস্যা সমাধান না করলে যত মিটিং হোক না কেন, কোনো কাজে আসবে না। তাই অধিদপ্তরকে এসব ব্যাপারেও নজর দিতে হবে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম