নির্দিষ্ট সময়ের আগেই চলে এসেছে মৌসুমি বায়ু, যা ইতোমধ্যে ঢাকাসহ দেশের চার বিভাগ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। আবহাওয়া অফিস বলছে— এটি আরও অগ্রসর হতে পারে। ফলে খুব দ্রুতই শুরু হবে বৃষ্টি; ফলে গরম থেকে রক্ষা পাওয়ার সুখবর বয়ে আনবে।
সাধারণত ৩১ মে বা ১ জুনের মধ্যে টেকনাফ উপকূল দিয়ে মৌসুমি বায়ু প্রবেশ করে। তবে আবহাওয়া অধিদপ্তর বৃহস্পতিবার জানিয়েছিল, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু টেকনাফ উপকূল পর্যন্ত এগিয়ে এসেছে।
আবহাওয়াবিদ ড. মুহাম্মদ আবুল কালাম মল্লিক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিমা লঘুচাপের বাড়তি অংশ ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ময়মনসিংহ, সিলেট ও চট্টগ্রাম বিভাগ এবং ঢাকা বিভাগের পূর্বাংশ পর্যন্ত অগ্রসর হয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরও অগ্রসর হওয়ার জন্য পরিস্থিতি অনুকূল রয়েছে।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে, শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়; ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সঙ্গে কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
আজ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ, ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় এবং বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় ঝড়বৃষ্টি অব্যাহত থাকতে পারে। এ ছাড়া দেশের অন্যান্য জায়গায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ আবহাওয়া প্রধানত শুষ্ক থাকতে পারে।
আগামী ২৪ ঘণ্টা রংপুর, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়; রাজশাহী, ঢাকা ও চট্টগ্রাম বিভাগের অনেক জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এ সময় কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে। আর বর্ধিত ৫ দিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু আরও অগ্রসর হতে পারে।
এদিকে ভারতের আবহাওয়াবিষয়ক ওয়েবসাইট স্কাইমেট ওয়েদারের তথ্যানুযায়ী, এবার স্বাভাবিকের চেয়ে ২ শতাংশ বেশি বৃষ্টিপাত হতে পারে।