উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ জরুরি: টিআইবি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ মে ২০২৪, ১০:২১ পিএম
সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েক বড় দুর্নীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের ঘটনা সামনে এসেছে। এর মধ্যে রয়েছে- ক্ষমতাসীন দলের একজন সংসদ সদস্যের হত্যাকাণ্ড, সাবেক সেনাপ্রধানের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের শাস্তিমূলক ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং সাবেক পুলিশপ্রধানের অবৈধ সম্পদ। এই সম্পদ জব্দ করতে আদালত নির্দেশনা দিয়েছে।
এর ফলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে সরকারের শূন্য সহনশীলতার ঘোষণা বাস্তবায়নের বাধ্যবাধকতা তৈরি হয়েছে। তাই উচ্চ পর্যায়ের ক্ষমতার অপব্যবহার, দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতা ও দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশ জরুরি।
রোববার এক বিবৃতিতে এসব কথা বলেছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, এসব ঘটনায় ‘সরকার ও ক্ষমতাসীন দল শুধু বিব্রতবোধ থেকে দায়সারা ব্যাখ্যা দিলে তা জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। পাশাপাশি তা সরকারের জন্যও আত্মঘাতী হবে। দেশের মানুষ উপলব্ধি করতে পারে ব্যাপক আলোচিত তিনটি ঘটনাই কোনো বিচ্ছিন্ন বিষয় নয়। বরং উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়নের ব্যাপক প্রাতিষ্ঠানিকীকরণের বহিঃপ্রকাশ।
তিনি বলেন, এ ধরনের অপরাধের দায় শুধু সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। পরোক্ষভাবে সহায়ক, যোগসাজশকারী, লাভবান হওয়া এবং সুরক্ষাকারীদের জবাবদিহিতায় আনতে হবে। না হলে, দুর্নীতির বিরুদ্ধে শূন্য সহনশীলতার সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার আরও এক দফা ফাঁকা বুলি হিসাবেই রয়ে যাবে। এ ধরনের দুর্নীতি ও দুর্বৃত্তায়ন ব্যাপকতর ও গভীরতর হবে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, যথাযথ প্রক্রিয়ায় অপরাধ প্রমাণসাপেক্ষে দৃষ্টান্তমূলক জবাবদিহিতার পাশাপাশি উচ্চ পর্যায়ের দুর্নীতির শ্বেতপত্র প্রকাশের আহ্বান জানাই।
তিনি আরও বলেন, ‘সেনাবাহিনী, র্যাব ও পুলিশের মতো রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ বাহিনীর সাবেক প্রধানসহ একজন আইন প্রণেতার এহেন কর্মকাণ্ড জনমনে সরকার, রাষ্ট্রব্যবস্থা ও শাসনকাঠামো নিয়ে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এর বিশ্বাসযোগ্য নিরসন জরুরি। একই সঙ্গে দুদকসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলো আলোচিত কোনো কোনো বিষয়ে যে তৎপরতা দেখাচ্ছে, তা যেন লোক দেখানো না হয়।’