জেনারেল আজিজের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা ‘ব্যক্তিগত দায়ে’: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২২ মে ২০২৪, ০৮:৪১ পিএম
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের ওপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার বিষয়টি কোনো ইনস্টিটিউশনাল (প্রাতিষ্ঠানিক) বিষয় নয়, এটি তার ব্যক্তিগত দায়।
বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. নওয়াব আলী সিনেট ভবনে আয়োজিত এক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
‘সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে দেওয়া মার্কিন নিষেধাজ্ঞাকে মির্জা ফখরুল রাজনৈতিক বলে মন্তব্য করেছেন’-এ নিয়ে প্রশ্ন করলে আওয়ামী লীগের এই যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জেনারেল আজিজকে যুক্তরাষ্ট্রের যে অ্যাক্টে যেভাবে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে, সেখানে ব্যক্তিগত দায়ের কথাই বলা হয়েছে, ইনস্টিটিউশনাল বিষয়ে নয়।’
উল্লেখ্য, সোমবার মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তার (আজিজ আহমেদ) কর্মকাণ্ডে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর অবমূল্যায়ন এবং সরকারি প্রতিষ্ঠান ও প্রক্রিয়ার ওপর জনগণের আস্থা কমেছে। এ ছাড়া আজিজ আহমেদ তার ভাইকে বাংলাদেশে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য জবাবদিহিতা এড়াতে সহযোগিতা করেন।
এ সময় তিনি নিয়মতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপের মাধ্যমে উল্লেখযোগ্য দুর্নীতিতে জড়িয়েছেন বলেও জানায় মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর। এ ছাড়া অন্যায্যভাবে সামরিক খাতে কাজ পাওয়া নিশ্চিত করতে তিনি তার ভাইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছেন। তিনি নিজের স্বার্থের জন্য সরকারি নিয়োগের বিনিময়ে ঘুস নিয়েছেন।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারের ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়, আজিজ আহমেদের বিরুদ্ধে এই ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান ও আইনের শাসন শক্তিশালী করতে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গীকার পুনরায় নিশ্চিত করা হলো। সরকারি সেবা আরও স্বচ্ছ ও নাগরিকদের সেবা লাভের সুযোগ তৈরি, ব্যবসা ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং মুদ্রা পাচার ও অন্যান্য অর্থনৈতিক অপরাধের অনুসন্ধান ও বিচার নিশ্চিতে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে বাংলাদেশে দুর্নীতিবিরোধী প্রচেষ্টায় সহায়তা দেয় যুক্তরাষ্ট্র।
সাবেক জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদকে ডিপার্টমেন্ট অব স্টেট, ফরেন অপারেশন অ্যান্ড রিলেটেড প্রোগ্রামস অ্যাপ্রোপ্রিয়েশনস অ্যাক্টের ৭০৩১ (সি) ধারার আওতায় অন্তর্ভুক্ত করার ঘোষণা দিয়েছে পররাষ্ট্র দপ্তর। এই পদক্ষেপের ফলে আজিজ আহমেদ এবং তার পরিবারের সদস্যরা যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের জন্য অযোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবেন বলেও উল্লেখ করা হয় বিবৃতিতে।