Logo
Logo
×

অন্যান্য

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি

Icon

বিশেষ প্রতিনিধি

প্রকাশ: ০৮ মে ২০২৪, ০৯:৫১ পিএম

সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে দরপত্র কিনেছে ৭ কোম্পানি

দেশের সমুদ্রে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে অংশ নিতে এখন পর্যন্ত সাতটি আন্তর্জাতিক কোম্পানি দরপত্র কিনেছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। 

বুধবার রাজধানীর একটি হোটেলে দরপত্র সংক্রান্ত এক সেমিনারের প্রথম সেশন শেষে প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, বঙ্গোপসাগরে তেল-গ্যাস অনুসন্ধানে গত মার্চে আন্তর্জাতিক দরপত্র আহ্বান করা হয়েছিল। বাংলাদেশের সমুদ্রে কাজ করার জন্য অনেকেই আগ্রহ প্রকাশ করেছে, করছে। আজকের সেমিনারেও ১৫টির বেশি আন্তর্জাতিক কোম্পানি অংশ নিয়েছে। এবারের দরপত্রে দেশের স্বার্থের পাশাপাশি বিনিয়োগকারী কোম্পানির স্বার্থও দেখা হয়েছে। ফলে এবারের দরপত্র নিয়ে বেশ আশাবাদী।

সেমিনারের প্রথম সেশন শেষে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বলেন, আগের দরপত্রের তুলনায় নতুন দরপত্রে অনেক পার্থক্য রয়েছে। এবার অনেক সুবিধা বেড়েছে। এবার দুপক্ষের জন্যই বিষয়টি লাভজনক করা হচ্ছে।

জ্বালানি উপদেষ্টা আরও বলেন, দক্ষিণ এশিয়া অনেক শান্তিপূর্ণ একটি এলাকা। বিনিয়োগের ক্ষেত্রে যারা দীর্ঘমেয়াদি চিন্তা করে, তারা এই বিষয়টি বিবেচনা করবে। বাংলাদেশের সমুদ্রের আশপাশেই গ্যাসের অনেক বড় বাজার আছে। সার্বিক দিক বিবেচনায় মনে হচ্ছে, অনেকেই দরপত্রের প্রক্রিয়ায় অংশ নেবে।  সেমিনারে বলা হয় দরপত্র আহবান থেকে শুরু করে তেল-গ্যাস তোলা পর্যন্ত সব প্রক্রিয়া শেষ হতে কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ বছর সময় লাগবে।

আগামী সেপ্টেম্বরের মধ্যে বিডিং রাউন্ড শেষ হবে উল্লে­খ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, পরবর্তী অন্যান্য প্রক্রিয়া শেষে নির্বাচিত কোম্পানির সঙ্গে দ্রুত চুক্তি করার পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের, যাতে আগামী বছরের মধ্যে তারা সাগরে অনুসন্ধান কাজ শুরু করতে পারে। অফশোরের পাশাপাশি অনশোর বা ভূমিতে তেল-গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম আরও জোরদার করতে মডেল পিএসসি হালনাগাদের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে।

জ্বালানি সচিব মো. নুরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি জিয়াউর রহমান, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান জনেন্দ্র নাথ সরকার, শেভরন বাংলাদেশের প্রেসিডেন্ট এরিক এম ওয়াকার এবং যুক্তরাজ্যভিত্তিক জ্বালানি কোম্পানি টিজিএসের সিনিয়র জিওলজিস্ট এলিজাবেথ গিলবার্ড। অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ অফশোর বিডিং রাউন্ড-২০২৪ সম্পর্কে বিস্তারিত উপস্থাপন করেন পেট্রোবাংলার মহাব্যবস্থাপক (এক্সপ্লোরেশন) ফারহানা শাওন।

তৌফিক-ই-এলাহী চৌধুরী বলেন, মডেল প্রোডাকশন শেয়ারিং কন্ট্রাক্ট-পিএসসি (উৎপাদন ও বণ্টন চুক্তি) হালনাগাদ করার পাশাপাশি নতুন কিছু বিষয় সংযোজন করা হয়েছে, যা আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানিগুলোকে (আইওসি) আরও সুবিধা এবং লাভ দেবে।

সেমিনার অংশ নিয়ে এক তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জ্বালানি বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. ম তামিম সাংবাদিকদের বলেন, অফশোর বিডিং নিয়ে সেমিনারে যে প্রেজেন্টেশন হলো সেটা খুবই ভালো বিডিং ডকুমেন্ট। এটি খুবই আকর্ষণীয়। এর অর্ধেকও যদি পূরণ হয় তাহলে অফশোরে গ্যাস পাওয়ার বিপুল সুযোগ রয়েছে। 

পেট্রোবাংলার কর্মকর্তারা জানান, বিডিং রাউন্ড বিষয়ক ওই সেমিনারে পেট্রোনাস, এক্সনমোবিল, শেভরন, ইনপেক্স করপোরেশন, জাপানের জগমেক, সিএনওওসি, ইতালির ইএনআই স্পা, ক্রিস এনার্জি, ওএনজিসি, টিজিএস এবং স্লামবার্জারের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। 

বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অংশে গভীর সমুদ্রে ১৫টি ও অগভীর সমুদ্রে ১১টি ব্লকসহ ২৬টি ব্লক বা এলাকা রয়েছে। বর্তমানে একমাত্র কোম্পানি হিসাবে অগভীর সমুদ্রের দুটি ব্লকে অনুসন্ধান চালাচ্ছে ভারতের কোম্পানি ওএনজিসি। এই দুটি বাদ দিয়ে বাকি ২৪টি ব্লকে দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম