‘কেমিক্যাল ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাত বন্ধ করতে হবে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম
খাদ্যমানবিহীন কেমিক্যাল ড্রামের ভোজ্যতেল ব্যবহার করে মানুষ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। জনস্বাস্থ্যের বিষয়টি বিবেচনায় অবিলম্বে এসব কেমিক্যাল ড্রামে ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণ বন্ধ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত মানববন্ধনে এসব কথা বলেন বক্তারা।
এতে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ নাগরিক সমাজের আহ্বায়ক মহিউদ্দিন আহমেদ, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবীর ভূঁইয়া, সদস্য শওকত আলী খান, আবুল কালাম আজাদ, আনোয়ার হোসেন প্রমুখ। এ সময় সংগঠনটি ৭ দফা দাবি জানায়।
বক্তারা বলেন, ভোজ্যতেল সংরক্ষণ বা সরবরাহের ক্ষেত্রে নীল রঙের কেমিক্যালের ড্রাম ব্যবহার করা হয়। ফলে ভোজ্যতেল বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে। ড্রামে বাজারজাত ৫৯ শতাংশ ভোজ্যতেলই ভিটামিন এ সমৃদ্ধ নয় এবং ৩৪ শতাংশ ভোজ্যতেলে সঠিক মাত্রায় ভিটামিন এ নেই। কিন্তু ভোজ্যতেল ভিটামিন এ সমৃদ্ধকরণ আইন অনুযায়ী, সমৃদ্ধকরণ প্রতীক ছাড়া এবং ক্ষতিকর কোনো উপকরণ দিয়ে তৈরি প্যাকেট বা পাত্রে ভোজ্যতেল বাজারজাত করা যাবে না। কিন্তু অস্বাস্থ্যকর, অনিরাপদ ও ফুডগ্রেডবিহীন ড্রামে বাজারজাত বন্ধকরণ শতভাগ নিশ্চিত করার কথা বলা হলেও সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
তাদের দাবিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো- মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে আইন অমান্যকারী ব্যবসায়ীদের সরকারি নিষেধাজ্ঞা মান্য করতে বাধ্য করতে হবে। আইন প্রতিপালনে ব্যবসায়ীদেরকে কেমিক্যাল ড্রামের পরিবর্তে ফুড গ্রেডেড বোতল অথবা প্যাকে ভোজ্যতেল বাজারজাতকরণে বাধ্য করতে হবে। রিফাইনারি কোম্পানিগুলো যেসব ড্রামে তেল সরবরাহ করে সেগুলোতে লেবেল এবং উৎস শনাক্তকরণ তথ্য যুক্ত করতে হবে। ড্রামের অস্বাস্থ্যকর তেলের স্বাস্থ্যক্ষতি সম্পর্কে নীতিনির্ধারক, উৎপাদক, সরবরাহকারী এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা তৈরি করতে হবে।