‘মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস বেশি বিকৃত করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ মার্চ ২০২৪, ০৮:৫৭ পিএম
শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেছেন, ৭৫ পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার ইতিহাস সবচেয়ে বেশি বিকৃত করা হয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ব্যবহার করে। শিক্ষাব্যবস্থার মাধ্যমে। কারণ, পরিকল্পনা ছিল— বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে পাকিস্তানমুখি করা, গোঁড়া ও উগ্র মৌলবাদী বানানো। পাকিস্তানের সঙ্গে পুনরায় ভাতৃত্ববোধ সৃষ্টি করা। ইতিহাসকে বিকৃত করে বঙ্গবন্ধুকে মুছে দিয়ে বঙ্গবন্ধুর সহকর্মীদের মুছে দিয়ে এক ধরনের সামরিকীকরণ করার অপচেষ্টা ছিল।
মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আয়োজনে মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস ২০২৪ উদযাপন উপলক্ষ্যে এক আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মুক্তিযুদ্ধকালীন অবস্থা যদি দেখি তাহলে মুজিবনগর সরকার ছিল রাজনৈতিক সরকার। বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করে যে সরকার গঠন করা হয়েছিল, সেই সরকারের সবাই রাজনৈতিক নেতারা ছিলেন, তারা জনযুদ্ধ পরিচালনা করেছিলেন। এসব কিছু মুছে ফেলার চেষ্টা করা হয়েছে। মিথ্যাকে প্রতিষ্ঠা করার সব অপচেষ্টা করা হয়েছে। সেগুলোর মধ্যে যে কী পরিমাণ হিপোক্রেসি লুকিয়ে আছে- তা আমরা দেখতে পাই।
মহিবুল হাসান চৌধুরী বলেন, পবিত্র রমজান মাসে বিদ্যালয় খোলা থাকা নিয়ে অনেক ধরনের প্রচার-অপপ্রচার হয়েছে। যেহেতু এই বছর বিষয়টি এসেছে। আমরা আগামীতে চেষ্টা করব বছরে ৫২টি শনিবার আছে। সেখানে যদি বিদ্যালয় কিছুটা খোলা রেখে রমজানে মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখা যায় সেক্ষেত্রে বিতর্ক সৃষ্টির অপপ্রয়াস যারা করছে তাদের অপ্রয়াস বন্ধ করতে পারে। সে লক্ষ্যে আমরা একটা পরিকল্পনা করব। যাতে করে আদালতে গিয়ে মিথ্যা গুছিয়ে বিভ্রান্ত করে রায় নিয়ে আসা নায় যায়। সে ধরনের অপচেষ্টা কেউ যেন না করতে পারে, এটা নিয়ে রাস্তায় নেমে মানববন্ধন করতে না পারে। সংবেদনশীলতার জায়গায় অবশ্যই শ্রদ্ধাশীল। এসব বিষয় নিয়ে আলেম-ওলামাদের সঙ্গেও আলোচনা করব, তাদের একটা অবস্থান আছে এ বিষয়ে।
তিনি বলেন, আগামীতে শিক্ষা পরিবার সংবিধানের মূলনীতি, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, যথাযথভাবে প্রতিষ্ঠিত করবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে একটি সুষম বাংলাদেশ সৃষ্টি করব আমরা, যেখানে পিছিয়ে পড়া মানুষ ও শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হবেন না। দক্ষতানির্ভর শিক্ষা বাস্তবায়ন করব আমরা।
অনুষ্ঠানে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব সোলেমান খানের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বেগম শামসুন নাহার, কারিগরি ও মাদ্রাসা শিক্ষা বিভাগের সচিব ড. ফরিদ উদ্দিন আহমেদ, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক নেহাল আহমেদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।