Logo
Logo
×

অন্যান্য

অন্ধত্বের দ্বিতীয় প্রধান কারণ গ্লুকোমা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৯ মার্চ ২০২৪, ১০:০৩ পিএম

অন্ধত্বের দ্বিতীয় প্রধান কারণ গ্লুকোমা

বিশ্বজুড়ে মানুষের অন্ধত্বের দ্বিতীয় প্রধান কারণ চোখের গ্লুকোমাজনিত সমস্যা। প্রথমটি ছানি রোগ। ছানি রোগের অন্ধত্ব সম্পূর্ণভাবে নিরাময় করা যায়। কিন্তু গ্লুকোমাজনিত অন্ধত্ব নিরাময় করা যায় না। 

রোগটির প্রাথমিক পর্যায়ে তেমন উপসর্গ না থাকায় রোগী বুঝতে পারেন না, তিনি ধীরে ধীরে অন্ধত্বের দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন। প্রায় ৭০-৮০ ভাগ দৃষ্টিশক্তি কমে যাওয়ার পরে রোগীরা বুঝতে পারেন। দেশের ১০ শতাংশ মানুষের গ্লুকোমা হওয়ার প্রবণতা রয়েছে। এ মুহূর্তে দেশে গ্লুকোমা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ২৫ লাখ ৫০ হাজার। এরমধ্যে ১৮ লাখ রোগী চিকিৎসার বাইরে রয়েছে। 

বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহ ২০২৪ উপলক্ষ্যে শনিবার রাজধানীর ধানমন্ডির একটি হোটেলে বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটি (বিজিএস) আয়োজিত আলোচনা সভায় চক্ষুরোগ বিশেষজ্ঞরা এসব তথ্য জানান। এ বছর বিশ্ব গ্লুকোমা সপ্তাহের (১০-১৬ মার্চ) প্রতিপাদ্য- ‘একসঙ্গে হাত ধরি গ্লুকোমা মুক্ত বিশ্ব গড়ি’।

গ্লুকোমা সোসাইটির প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ডা. জাকিয়া সুলতানা সহীদের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা-১০ আসনের সংসদ-সদস্য ফেরদৌস আহমেদ, এশিয়া প্যাসিফিক একাডেমি অব অফথালমোলজির সভাপতি অধ্যাপক ডা. আভা হোসেন, অফথালমোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশ (ওএসবি) সভাপতি অধ্যাপক ডা. এএইচএম এনায়েত হোসেন, ওএসবির মহসচিব অধ্যাপক ডা. দীপক কুমার নাগ, বাংলাদেশ গ্লুকোমা সোসাইটির মহাসচিব অধ্যাপক ডা. সিদ্দিকুর রহমান, সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ডা. শেখ এমএ মান্নাফ, অধ্যাপক ডা. এম নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

আলোচনা সভায় জানানো হয়, দেশে ৩৫ বছরের বেশি বয়সি ৫২ হাজার মানুষের মধ্যে করা এক জরিপে দেখা গেছে, ৩ দশমিক ২ শতাংশ মানুষের গ্লুকোমা রয়েছে। ২০২১-২২ সালে ৬৫ উপজেলায় জরিপটি করা হয়।

জরিপে দেখা গেছে, গ্রামের তুলনায় শহরে গ্লুকোমার প্রবণতা বেশি। দুই ধরনের গ্লুকোমা প্রবণতা বেশি। নারীরা বেশি আক্রান্ত হচ্ছেন ন্যারো-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমায়। পুরুষদের মধ্যে ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমার হার বেশি। ন্যারো-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা মূলত চোখের ছানি ও দূরদৃষ্টির সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। ওপেন-অ্যাঙ্গেল গ্লুকোমা দীর্ঘস্থায়ী রোগ, যা অপটিক স্নায়ুকে প্রভাবিত করে এবং সাধারণত পেরিফেরাল দৃষ্টিশক্তি ধীরে ধীরে হারানোর লক্ষণে চিহ্নিত করা হয়।

রোগটির পারিবারিক ইতিহাস, বয়স চলি­শের বেশি হলে, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ থাকলে, দীর্ঘদিন স্টেরয়েড সেবন করলে, চোখের অন্যান্য রোগ ও জন্মগত চোখের ত্রুটি থাকলে গ্লুকোমার ঝুঁকি বাড়ে। এক্ষেত্রে কেবল চোখের উচ্চচাপই ওষুধ দিয়ে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। লেজার চিকিৎসা সার্জারির প্রয়োজন হতে পারে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম