ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ঘুস, টিআইবির অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করল বিআরটিএ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ মার্চ ২০২৪, ১০:২৮ পিএম
গাড়ির নিবন্ধন ও ফিটনেস সনদ হালনাগাদ এবং ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে ঘুস নেওয়ার বিষয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি) যে গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে তা প্রত্যাখ্যান করেছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ)।
এ বিষয়ে বিআরটিএ’র চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার বলেছেন, তাদের প্রতিবেদন অবশ্যই উদ্দেশ্যপ্রণোদিত। এটা গোঁজামিলের রিপোর্ট। এ বিষয়ে টিআইবি’র কাছে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বুধবার রাজধানীর বনানীতে সদর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
বেসরকারি বাস পরিবহণ নিয়ে মঙ্গলবার প্রতিবেদন প্রকাশ করে টিআইবি। সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএর কার্যক্রম শতভাগ ঘুসমুক্ত তার নিশ্চয়তা দিতে পারেননি চেয়ারম্যান নূর মোহাম্মদ মজুমদার। সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন, এখানে ১০০ পার্সেন্টের বিষয় না। তারাই (টিআইবি) বলেছে ৪৬ শতাংশ বাস মালিককে ঘুস দিতে হয়। ঘুস লেনদেন হয় না, এটা হান্ড্রেড পার্সেন্ট কেউ হলফ করে বলতে পারবে না। যদি হয়ে থাকে, সেটার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা তো আছে। পৃথিবীর সব দেশে যারা অনিয়ম-দুর্নীতি করে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা আছে।
টিআইবির রিপোর্ট প্রসঙ্গে নূর মোহাম্মদ মজুমদার আরও বলেন, এ ধরনের অনুমাননির্ভর তথ্য সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে। বিআরটিএ সার্ভিস পোর্টালের মাধ্যমে ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রাইডশেয়ারিং সার্ভিসের আবেদন ঘরে বসে দাখিল ও ঘরে বসেই সার্টিফিকেট প্রিন্ট করা যায়। ই-ড্রাইভিং লাইসেন্স পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার দিনই পাওয়া যায়। ৭ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে স্মার্ট কার্ড ডাকযোগে গ্রাহকের ঠিকানায় পাঠানো হয়। তাই সেবা পেতে ঘুস, দুর্নীতি বা হয়রানির অভিযোগ যুক্তিযুক্ত নয়। ফিটনেস নবায়নে অনলাইনে অ্যাপয়নমেন্ট বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। নির্ধারিত দিনে গাড়ি যাচাই এবং সনদ দেওয়া হয়। মোটরযান ভেহিকেল ইন্সপেকশন সেন্টারের (ভিআইসি) মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ফিটনেস যাচাই হয় ঢাকায়। এতে ১৫ মিনিট থেকে এক ঘণ্টা লাগে। তাই ঘুস নেওয়ার সুযোগ নেই। রুট পারমিট কমিটির সুপারিশে বিআরটিএ দেয়। কমিটির সভা অনুষ্ঠানের বিলম্বের কারণে এতে সময়ক্ষেপণ হতে পারে। কিন্ত কোনোভাবেই ৪৫ দিন লাগে না। টিআইবির প্রতিবেদনে যেসব গঠনমূলক সুপারিশ রয়েছে সেগুলো প্রহণ করা হবে বলে জানান নূর মোহাম্মদ মজুমদার।
সংবাদ সম্মেলনে বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
মালিক সমিতির প্রতিবাদ : এদিকে টিআইবির প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহণ মালিক সমিতি। এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সমিতির নেতারা বলেন, প্রতিবেদনের সঙ্গে বাস্তবতার মিল নেই। মালিক সমিতি নির্ধারিত পরিচালনা ব্যয়ের অতিরিক্ত অর্থ আদায় করে না। এর বাইরে কেউ চাঁদা আদায় করলে মালিক সমিতি তাদের প্রতিহত করে।