Logo
Logo
×

অন্যান্য

সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে নিজের মানুষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে: মেনন

Icon

সংসদ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১০:২১ পিএম

সিন্ডিকেট ভাঙতে সরকারকে নিজের মানুষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে: মেনন

দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ব্যর্থ করে সুষ্ঠুভাবে দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন হলেও এ সম্পর্কে জনমানুষের অনাস্থাবোধ দূর করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তিনি বলেছেন, সরকারের প্রধান চ্যালেঞ্জ দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে সিন্ডিকেট ভাঙতে হলে নিজের মানুষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে।

মঙ্গলবার জাতীয় সংসদে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনা ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।

রাশেদ খান মেনন বলেন, এবারই প্রথম এত অধিক সংখ্যক স্বতন্ত্র সদস্য সংসদে এসেছেন। ফলে সংসদে কিছু নতুন রীতির সৃষ্টি হবে। কিন্তু সেটা যেন এমন না হয় যাতে সংসদীয় রীতির সৌন্দর্য নষ্ট হয়। 

ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি বলেন, বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি অর্থনীতির ক্ষেত্রে নয়া উদারনীতিবাদ অনুসরণের ফসল। এই নীতিতে মুষ্টিমেয়র হাতে সম্পদের কেন্দ্রীভবন ঘটে। বাংলাদেশে এই নয়া উদারনীতিবাদেরও বিকৃত প্রয়োগ ঘটছে। দুর্বৃত্তায়িত এই অর্থনীতি বিস্তৃত হয়েছে রাজনীতি ক্ষেত্রে। সমাজতন্ত্রের লক্ষ্য দূরে থাক, আওয়ামী লীগ যে মিশ্র অর্থনীতির কথা বলেছে, তার থেকে তারা আজ যোজন যোজন দূরে। দেশে জন্ম নিয়েছে ক্রনি ক্যাপিটালিজম।

রাশেদ খান মেনন আরও বলেন, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা যে নতুন রাজনৈতিক ব্যবস্থার কথা বলছেন, সে ব্যবস্থায় ধনীরাই থাকবে, গরিব-মধ্যবিত্ত সাধারণ মানুষ নয়। নির্বাচন কমিশন সেই লক্ষ্যে উপজেলা চেয়ারম্যানের জামানত এক লাখ, ভাইস-চেয়ারম্যানের জামানত ৭০ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে কেন্দ্র করে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত ছিল। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও জনগণের প্রতিরোধ সব ষড়যন্ত্রকে ব্যর্থ করে দিয়েছে। আগুন সন্ত্রাস, ট্রেনে মানুষ পুড়িয়ে মারা, রেললাইন উপড়ে ফেলা নানা জটিল পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে এই নির্বাচনটি হয়ে যাওয়া দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র এবং অসাংবিধানিক ধারার বিরুদ্ধে বিশেষভাবে মার্কিন সাম্রাজ্যবাদী হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে একটি রাজনৈতিক বিজয়।

রাশেদ খান মেনন বলেন, এ কথা সত্য যে, নির্বাচন সম্পর্কে জনমানুষের যে অনাস্থাবোধ তা দূর করা যায়নি। কালো টাকার প্রভাব, বিশেষ সংস্থার নিয়ন্ত্রণ, কোনো কোনো ক্ষেত্রে নির্বাচন কমিশনের অসহায়ত্ব, শহরাঞ্চলগুলোয় ভোটারদের নগণ্য উপস্থিতি নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতাকে ক্ষুন্ন করেছে। কিন্তু তা কোনোক্রমেই নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করে না। 

এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ ক্রমবর্ধমান দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে আনা। এটা একইভাবে আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ১১টি প্রধান প্রতিশ্রুতির প্রথম প্রতিশ্রুতি। বাজার সিন্ডিকেট না ভাঙার কোনো কারণ নেই। কারণ কারা বাজার নিয়ন্ত্রণ করে সরকারের তা জানা। অন্য দলকে এ ব্যাপারে দোষ দিয়ে লাভ নেই। নিজের মানুষের বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নিতে হবে। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম