ভূমিসেবা ব্যবস্থার সাইবার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছে সরকার: মন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৩ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:০০ পিএম
ভূমিমন্ত্রী নারায়ন চন্দ্র চন্দ বলেছেন, সরকার ভূমিসেবা সহজীকরণের পাশাপাশি ভূমিসেবা ব্যবস্থার সাইবার নিরাপত্তাকে সর্বাধিক গুরুত্ব দিচ্ছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর ভূমি ভবনের ২য় তলায় অবস্থিত সভাকক্ষে ভূমি মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প অবহিতকরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভূমি সচিব মো. খলিলুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অবহিতকরণ সভায় অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন ভূমি আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান একেএম শামিমুল হক, ভূমি সংস্কার বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আব্দুস সবুর মন্ডল, ভূমি রেকর্ড ও জরিপ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আনিস মাহমুদসহ ভূমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (উন্নয়ন) মো. জিয়াউদ্দীন আহমেদ, সব প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক এবং মন্ত্রণালয় ও প্রকল্পের সংশ্লিষ্ট অন্যান্য কর্মকর্তারা।
প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশ উদ্যোগের আওতায় ভূমি সেবার ডিজিটালাইজেশন হচ্ছে উল্লেখ করে ভূমিমন্ত্রী বলেন, ভূমি লেনদেনসহ ভূমি সংশ্লিষ্ট অসংখ্য কাজ নিয়মিত পরিচালিত হচ্ছে। এসব ভূমিসেবা নির্বিঘ্নে দিতে হলে ভূমিসেবা কাঠামোর নিশ্ছিদ্র সাইবার নিরাপত্তা অপরিহার্য। মন্ত্রী স্পর্শকাতর তথ্য সুরক্ষা এবং ভূমিসেবা অবকাঠামোর প্রতি নাগরিকদের আস্থা সমুন্নত রাখতে একটি শক্তিশালী ও সহনশীল সাইবার নিরাপত্তা কাঠামোর প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘সরকার সব ডিজিটাল সেবায় সাইবার নিরাপত্তাকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়েছে এবং ভূমিসেবাও এর ব্যতিক্রম নয়। রাষ্ট্রীয় স্পর্শকাতর তথ্যের নিরাপত্তা, নাগরিকদের সম্পত্তি সম্পর্কিত তথ্য এবং সম্পত্তি লেনদেন সম্পর্কিত তথ্যের নির্ভরযোগ্যতা নিশ্চিত করার বিষয়টি মাথায় রেখে আমাদের কাজ করতে হবে।’
‘ভূমিসেবা কাঠামোর সাইবার নিরাপত্তায় ভূমি মন্ত্রণালয় কর্তৃক ইতোমধ্যে গৃহীত কিছু উদ্যোগ যেমন- নিয়মিত ল্যান্ড সার্ভিস সাইটের দুর্বলতা পরীক্ষা (ভালনেরাবিলিটি টেস্ট), সাইবার বিশেষজ্ঞ নিয়োগ এবং ভূমিসেবা ব্যবস্থা অবকাঠামোর একটি সমন্বিত আইসিটি নিরাপত্তা নির্দেশিকা প্রণয়নের বিষয়ে সন্তোষ প্রকাশ করেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘প্রতিনিয়ত পরিবর্তনশীল প্রযুক্তির সঙ্গে সঙ্গে ভূমিসেবা ব্যবস্থার সাইবার সিকিউরিটি ব্যবস্থাকে এমনভাবে শক্তিশালী করার ব্যবস্থা নিতে হবে, যাতে সর্বাধুনিক ও নির্ভরযোগ্য সাইবার সিকিউরিটি সিস্টেম সহজে ইন্টিগ্রেট (সংহত) করা যায়।’