টকশোতে যাওয়া আলোচকরা পণ্ডিত, অল্প জেনেই পুরোটা বলতে পারেন: ইসি
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৫:০৫ পিএম
টেলিভিশন বা বিভিন্ন অনলাইনে প্ল্যাটফর্মে টকশোতে যারা আলোচক হিসেবে যান, তারা পণ্ডিত ব্যক্তি উল্লেখ করে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, টকশোতে যখন দায় চাপানো হয় তখন খারাপ লাগে। অনেক সময় তারা (আলোচকরা) না জেনে, বা আংশিক জেনে মতামত দেন। অবশ্য তারা পণ্ডিত ব্যক্তি। অল্প জেনেই পুরোটা বলতে-লিখতে পারেন। তাদের পুরোটা জানা দরকারও হয় না।
বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনের অডিটরিয়ামে আয়োজিত ‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু ও সফলভাবে সম্পন্ন করায় ধন্যবাদ জ্ঞাপন’ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ইসি সচিব মো. জাহাংগীর আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে চার কমিশনার ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সবপর্যায়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি ও সমমনা দলগুলোর বর্জনের মুখে গত ৭ জানুয়ারি বিচ্ছিন্ন দুই-একটা ঘটনা ছাড়া শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয় দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ। এতে নিরঙ্কুশ জয় পেয়ে টানা চতুর্থবারের মতো সরকার গঠন করেছে আওয়ামী লীগ। নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জানিয়েছে, সেই নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৪১ দশমিক ৮ শতাংশ।
ইসি আলমগীর বলেন, যারা নির্বাচনে আসবে না তাদের আনার দায়িত্ব আমাদের না। তবে আমরা আমাদের কাজকর্মের জন্য অত্যন্ত সন্তুষ্ট।
তিনি বলেন, যেদিন আমরা শপথ নিয়েছিলাম সেদিন থেকেই এই কর্মযজ্ঞ শুরু হয়েছে। দল নিবন্ধন, ভোটার তালিকা আসন বিন্যাস, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা, সংলাপ ও পর্যবেক্ষক নিবন্ধন সফলভাবে করতে পেরেছে ইসি সচিবালয়।
ইসির এ কমিশনার আরও বলেন, দলগুলো যারা অংশগ্রহণ করেছে এবং সরকার- সবাই আন্তরিকভাবে সহযোগিতা করেছে। আনসার থেকে শুরু করে সবাই সহায়তা করেছে। সরকার একটি বিরাট শক্তি, তাদের সহযোগিতা যদি না পেতাম, সুষ্ঠুভাবে নির্বাচন করতে পারতাম না।
আরেক কমিশনার মো. আনিছুর রহমান বলেন, আমরা দৃঢ় ছিলাম যে অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন করতে না পারলে আমরা আমাদের সিদ্ধান্ত নেব।