Logo
Logo
×

অন্যান্য

পাটকল লিজ নিয়ে অন্য কিছু উৎপাদন করলে কঠোর ব্যবস্থা: নানক

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ১৭ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:৪৩ পিএম

পাটকল লিজ নিয়ে অন্য কিছু উৎপাদন করলে কঠোর ব্যবস্থা: নানক

ফাইল ছবি

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেছেন, সরকারি পাটকল লিজ নিয়ে ওই কারখানায় অন্য কোনো কিছু উৎপাদনের সুযোগ নেই। পাটকলে পাটজাত দ্রব্য বা পণ্য উৎপাদন করতে হবে। লিজের শর্ত ভঙ্গ করলে লিজিদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

তিনি বলেন, বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব নিয়ে এখানকার কাজ বুঝার চেষ্টা করছি। দ্রুততম সময়ের মধ্যে দৃশ্যমান কিছু উদ্যোগ দেখা যাবে। পাটের হারানো সোনালি অতীত ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা রয়েছে। 

সচিবালয়ে বুধবার নিজ দপ্তরে যুগান্তরকে তিনি এসব কথা বলেন।

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পাটের বীজের মান ভালো না। বীজ ভালো না হলে ভালো উৎপাদন হবেই না। ভালো বীজ সংগ্রহে সমস্যা কোথায় তা জানার চেষ্টা করছি। ভালো উৎপাদন হলো কিন্তু পাট সংগ্রহের জন্য পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা থাকল না। ভালো ফলন হওয়া সত্ত্বেও ফসল ঘরে তোলা গেল না, তাহলে কি লাভ হবে। 

তিনি আরও বলেন, পাটের মৌসুমে কৃষকরা ন্যায্যমূল্য না পেলে তারা উৎপাদনের আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে। মৌসুমে কম দামে পাট ক্রয় করে মৌসুম শেষে মধ্যস্বত্বভোগীরা বেশি দামে পাট বিক্রি করে লাভবান হচ্ছে। এ ধারা চলতে দেওয়া যায় না। আমরা এগুলো দেখব। 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী আরও বলেন, পাট পাতা থেকে চা তৈরি করা হয়। জার্মানি পাটের পাতা থেকে চা উৎপাদন করে, আবার আমাদের দেশে তা আমদানি করা হয়। অথচ জার্মানিতে পাট উৎপাদন হয় না। পাটের পাতা আমাদের আর চা উৎপাদন করে তারা লাভবান হচ্ছে। কিন্তু আমরা তা করতে পারছি না। কেন পারছি না তা নিয়ে কাজ করব। তিনি আরও জানান, পাটপাতা থেকে উৎপাদিত চা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহৌষুধ। অথচ এটা আমাদের জানাই নেই। এ ভাবে আরও অনেক বিষয় আসবে যা আগামী দিনে জানানো হবে। 

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী বলেন, পাট থেকে উৎপাদিত পলিথিন নিয়ে আমরা কাজ করব। কারণ বাজারের পলিথিন পরিবেশ প্রতিবেশের জন্য মারাত্মক বিপর্যয় ডেকে এনেছে। নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মন্ত্রী আরও বলেন, মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেট পুড়ে গেছে। সেখানে নতুন ভবন করতে হিয়ে দেখা গেছে মাটির যত গভীরে যাচ্ছি পলিথিন আর পলিথিন। পিউর মাটি পাওয়া যাচ্ছে না। এ ভাবে আর চলতে পারে না। 

তিনি আরও বলেন, স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী থাকাকালে ড্রেন পরিষ্কার করতে গিয়ে দেখা গেছে পলিথিন আর পলিথিন। ঢাকা মহানগরীর জলবদ্ধতার অন্যতম প্রধান কারণ পলিথিন। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম