যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে ভাবছে না সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৯ জানুয়ারি ২০২৪, ১০:০৫ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের সমালোচনা করে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্য যে বিবৃতি দিয়েছে, তা নিয়ে সরকার ভাবছে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন।পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। কারণ, তারা জনগণের রায়কে সম্মান করে।
মঙ্গলবার ঢাকায় অবস্থানরত কূটনীতিকদের সঙ্গে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন সুগন্ধায় ‘মিট অ্যান্ড গ্রিট’ অনুষ্ঠান শেষে এক প্রশ্নে তিনি এসব কথা বলেন।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যের বিবৃতি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন বলেন, ‘ওগুলো নিয়ে আমাদের চিন্তা নাই। আমাদের জনগণ রায় দিয়েছে, আর কিছুর প্রয়োজন নেই এবং অন্যান্য দেশ আমাদের পক্ষেই; যারা এসেছে সবাই বলেছে যে, দেশে অবাধ, নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ, বিশ্বাসযোগ্য এবং সহিংসতামুক্ত নির্বাচন হয়েছে এবং নির্বাচন কমিশনকে সবাই ধন্যবাদও দিয়েছে। সেটাই এবং আমরা এটা নিয়ে অনেক খুশি।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন ভারতীয় হাইকমিশনের প্রতিনিধি, বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক, মার্কিন রাষ্ট্রদূত পিটার হাস, চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন, রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার মানটিটস্কি, ঢাকায় জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়ক গউইন লুইসসহ বিভিন্ন দেশের হাইকমিশনার ও রাষ্ট্রদূতরা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ রাষ্ট্র ব্যবস্থার ধারাবাহিকতার প্রতীক, যা আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক শান্তি ও নিরাপত্তা নিশ্চিতে অবদান রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের পাশাপাশি সন্ত্রাসবাদ, মৌলবাদ ও চরমপন্থা নির্মূলে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ।
কূটনীতিকদের দেওয়া এক ব্রিফিং নোটে বলা হয়, ‘নতুন সরকারের উদ্যোগের মাধ্যমে বাংলাদেশ বৃহত্তর আঞ্চলিক নিরাপত্তা, সংহতকরণ ও যোগাযোগের মাধ্যমে দক্ষিণ এশিয়ায় অভিন্ন অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি নিশ্চিত করতে প্রতিবেশীদের সঙ্গে সহযোগিতা আরও জোরদার করতে প্রস্তুত হবে।’
এতে বলা হয়, ‘আমাদের অর্থনৈতিক অগ্রগতির পাশাপাশি বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক সমাজ গঠনে সফল হবে, যা নিয়ে আমাদের ভবিষ্যত প্রজন্ম গর্ববোধ করবে।’
নোটে আরও বলা হয়, ‘জাতীয় পর্যায়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারের বিগত তিন মেয়াদে অর্জিত আর্থ-সামাজিক কর্মকাণ্ডে আরও গতিশীলতা আনার নতুন সুযোগের সূচনা করবে। গণতান্ত্রিক শাসনের অধীনে রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা এসব অর্জনে অনেক অবদান রেখেছে।’