এবার নির্বাচন স্বচ্ছ হওয়ার সুযোগ রয়েছে: ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৮:১৯ পিএম
ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম বলেছে, আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।এবার এই নির্বাচনটি স্বচ্ছ হওয়ার সুবর্ণ সুযোগ রয়েছে।
মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেছে নির্বাচনি পর্যবেক্ষক সংগঠনটি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকসহ সার্বিক কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করে ইলেকশন মনিটরিং ফোরাম।
লিখিত বক্তব্যে সংগঠনের মুখপাত্র ও পরিচালক আব্দুল জাব্বার খান বলেন, অতীতের মতো এবারো দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের আমন্ত্রণে এবং স্বেচ্ছায় প্রায় দুই শতাধিক বিদেশি পর্যবেক্ষক বাংলাদেশের নির্বাচন পর্যবেক্ষণের জন্য আসবেন। ইতোমধ্যে প্রায় ১৫টি আন্তর্জাতিক সংগঠন ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সঙ্গে নির্বাচনের পরিবেশ, রাজনৈতিক দলের ভূমিকা, নির্বাচন কমিশনের প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য সংগ্রহের জন্য যোগাযোগ করেছে। এর মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্টের সহকারী ও জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের চিফ অব স্টাফ, সাবেক কংগ্রেসম্যান, ওএসসিই-এর সার্টিফায়েড নির্বাচন পর্যবেক্ষকসহ ১০ জন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে পর্যবেক্ষণে আসবেন বলে আমরা বিভিন্ন সূত্রে জেনেছি। এছাড়াও যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, আয়ারল্যান্ড, পোল্যান্ড, জার্মানি, নেদারল্যান্ড, নরওয়ে, দক্ষিণ কোরিয়াসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশের পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন পর্যবেক্ষণে আসবে।
তিনি আরও বলেন, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের সদস্য সংগঠনের ৬ হাজার ৩০১ জন স্থানীয় পর্যবেক্ষক কমপক্ষে ২ শতাধিক আসনে নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে। আমরা বিশ্বাস করি স্থানীয় নাগরিক, পর্যবেক্ষক ও সংবাদকর্মীরা সচেতন হলে জালভোট প্রদান, ব্যালট বক্স ও ব্যালট পেপার ছিনতাই, কেন্দ্রে আসা ও ভোটদানে বাধা প্রদান, ভোটের আগে অবৈধ অর্থের লেনদেন নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের মুখপাত্র বলেন, আমরা মনে করি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রয়েছে। যা বহির্বিশ্বে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতার ক্ষেত্রে সহায়ক ভূমিকা রাখবে ও দেশি-বিদেশি পর্যবেক্ষকদের উপস্থিতি নির্বাচনকে আরও প্রাণবন্ত করবে। এছাড়াও ৭ জানুয়ারির নির্বাচনে ২৭টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করছে। এই নির্বাচন সব দলের অংশগ্রহণে না হলেও আমাদের মনে হচ্ছে সাধারণ মানুষ নির্বাচনমুখী। এবারের নির্বাচনে ভোটারদের অংশগ্রহণ কতটা স্বতঃস্ফূর্ত হচ্ছে তা জানার জন্য আমাদেরকে ৭ জানুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ফোরামের চেয়ারম্যান আবেদ আলী বলেন, রাজনৈতিক দল তাদের নিজস্ব কৌশল অনুযায়ী নির্বাচনে আসবে কি আসবে না সেটা তাদের বিষয়। আমরা মনে করছি নির্বাচনে ৬৫ থেকে ৭০ শতাংশ ভোট হলে নির্বাচন স্বচ্ছ হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ইএমএফ সার্ক মানবাধিকার ফাউন্ডেশনের সভাপতি ও আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি ছিদ্দিকুর রহমান মিয়া, ইলেকশন মনিটরিং ফোরামের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মোহাম্মদ আবেদ আলী, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মো. শাহ্ নেওয়াজ, ডুয়েটের উপাচার্য অধ্যাপক ড. হাবিবুর রহমান প্রমুখ।