বাংলাদেশ-ভারত নৌসচিব বৈঠক
পায়রা বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় আনার প্রস্তাব
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৯ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:১৯ পিএম
চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের মতো পায়রা বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্টের আওতায় আনতে ভারতকে প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ। প্রস্তাবে ভারত যেভাবে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে আসছে, একই পদ্ধতিতে পায়রা বন্দর ব্যবহারের কথা বলা হয়েছে। বাংলাদেশের এ প্রস্তাবে সম্মতি দিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার ঢাকার স্থানীয় একটি হোটেলে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ ও ভারত ‘ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিটির’ (আইজিসি) বৈঠকে এ আলোচনা হয়।
বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল এবং ভারতের পোর্টস, শিপিং অ্যান্ড ওয়াটারওয়েজ মন্ত্রণালয়ের সচিব টি কে রমাচন্দ্রন নিজ নিজ দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামাল যুগান্তরকে বলেন, চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দরের পাশাপাশি পায়রা বন্দরও ব্যবহারে ভারতকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। তারা প্রাথমিকভাবে সম্মত হয়েছে। সচিব পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত হতে পারে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পায়রা বন্দরের ব্যবহার বাড়াতে এ প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয় জানায়, নৌপথে আঞ্চলিক যোগাযোগ ও সহযোগিতা এগিয়ে নিতে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের সচিব পর্যায়ের দুই দিনব্যাপী সভা মঙ্গলবার ঢাকায় শুরু হয়েছে। এ বৈঠকের প্রথম দিন ‘প্রটোকল অন ইনল্যান্ড ওয়াটার ট্রানজিট অ্যান্ড ট্রেডের’ (পিআইডব্লিউটিএন্ডটি) অধীন স্ট্যান্ডিং কমিটির সভা এবং ‘ইন্টার গভর্নমেন্টাল কমিটির’ (আইজিসি) পর্যায়ের বৈঠক হয়েছে। বুধবার সচিব পর্যায়ের বৈঠক হবে। নৌপরিবহণ মন্ত্রণালয়ের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভিন্ন দপ্তরের প্রতিনিধিদের সমন্বয়ে বাংলাদেশের পক্ষ থেকে ৩১ জনের প্রতিনিধিদল এবং ভারতের পক্ষ থেকে ২৩ জনের প্রতিনিধিদল দুই দিনব্যাপী এ বৈঠকে যোগ দিয়েছেন।
পায়রা বন্দরকে ট্রান্সশিপমেন্ট দেওয়ার বিষয়ে নৌমন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানান, যেসব রুট ব্যবহার করে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে ভারতীয় পণ্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুযোগ পায়, একই রুটে পায়রা বন্দর ব্যবহারের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে পায়রা বন্দর ব্যবহার করতে হলে বাড়তি যেসব পথ ব্যবহার করতে হবে সেগুলো রুটভুক্ত করার প্রয়োজন হবে।