শ্রদ্ধা-ভালোবাসায় সূর্যসন্তানদের স্মরণ
অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াই অব্যাহত রাখার প্রত্যয়
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৩, ১০:৫০ পিএম
স্বাধীনতার উষালগ্নে জাতির সূর্যসন্তানদের হারানোর বিষাদময় দিনটি গভীর শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় স্মরণ করেছে গোটা জাতি। শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার স্মৃতিসৌধের বেদি ভরে উঠেছিল ফুলে ফুলে। রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধান থেকে শুরু করে জাতিবর্ণনির্বিশেষে সবাই তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেছে।
দিনটি উপলক্ষ্যে কালো পতাকা উত্তোলন ও জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ, আলোচনাসভা, শহিদদের স্মরণে মোমবাতি প্রজ্বালন, শোক র্যালি, শ্রদ্ধা নিবেদন, চিত্রাঙ্কন, সাধারণজ্ঞান, হাতের লেখা প্রতিযোগিতাসহ বিভিন্ন কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। মসজিদ-মন্দিরে তাদের জন্য হয়েছে দোয়া ও প্রার্থনা। ঢাকার পাশাপাশি সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালিত হয়েছে।
এসব কর্মসূচি থেকে মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে লড়াই অব্যাহত রাখার দৃঢ়প্রত্যয় ব্যক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসে শ্রদ্ধা জানাতে আসা মানুষের কণ্ঠে ছিল উন্নত-সমৃদ্ধ অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়। ছিল ইতিহাস বিকৃতকারীদের রুখে দেওয়ার শপথ। সাম্প্রদায়িক শক্তির ধারক-বাহকদের প্রত্যাখ্যান এবং নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা জাগিয়ে তুলতে সঠিক ইতিহাসচর্চার দাবিও ছিল মানুষের মাঝে।
১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের শেষভাগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি বাহিনী তাদের এদেশীয় দোসরদের সহযোগিতায় হত্যা করেছিল শিক্ষাবিদ, চিকিৎসক, সাংবাদিকসহ জাতির হাজারো মেধাবী সন্তানকে। দিনটি স্মরণে বৃহস্পতিবার সকালে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৭টায় স্মৃতিসৌধের বেদিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পর রাষ্ট্রপ্রধান ও সরকারপ্রধান সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। সশস্ত্রবাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল সশস্ত্র সালাম জানায়; বিউগলে বাজানো হয় করুণ সুর। এরপর আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় সভাপতি হিসাবে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা এবং শহিদ বুদ্ধিজীবীদের সন্তানদের সঙ্গেও তিনি কুশল বিনিময় করেন।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর পরে একে একে শহিদবেদিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী, প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, শহিদ পরিবারের সন্তান ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধারা।
বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ধানমন্ডিতে যান এবং বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরের সামনে স্থাপিত জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। পুষ্পস্তবক অর্পণের পর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতার স্থপতি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে সেখানে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। এরপর শেখ হাসিনা দলীয় প্রধান হিসাবে দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে আরেকটি পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আমির হোসেন আমু, সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, ড. আব্দুর রাজ্জক, জাহাঙ্গীর কবির নানক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মাহবুবউল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলটির সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহণ ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেন, সাম্প্রদায়িক অপশক্তি এখনো দেশে ডালপালা মেলে আছে। মুক্তিযুদ্ধবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির বিরুদ্ধে আত্মশক্তিতে বলীয়ান হয়ে আমাদের লড়াই অব্যাহত রাখতে হবে।
এদিকে মিরপুরে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানায় বিএনপি। স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানের নেতৃত্বে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান। এ সময় ড. আব্দুল মঈন খান বলেন, আজ দুঃখের সঙ্গে বলতে হয়, স্বাধীনতার ৫২ বছর পেরিয়ে গেলেও দেশের মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। গণতন্ত্র নেই, একদলীয় শাসন কায়েম হয়েছে।
এদিকে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদন পর্ব শেষে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয় স্মৃতিসৌধ এলাকা। জাতীয় পাতাকা আর শ্রদ্ধার ফুল হাতে নানা বয়সের হাজারো মানুষ জড়ো হন শহিদবেদিতে। আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টি ছাড়াও শ্রদ্ধা জানায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি, জাতীয় পার্টি-জেপি, নাগরিক ঐক্য, বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জেএসডি, গণসংহতি আন্দোলন, গণফোরাম-পিপলস পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, ১২ দলীয় জোট, জাতীয়তাবাদী সমমনা জোট, গণতান্ত্রিক বাম ঐক্য, এলডিপি, এবি পার্টি, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ উত্তর ও দক্ষিণ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবদল, ছাত্রদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ছাত্র ইউনিয়ন প্রমুখ।
বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, শিল্পকলা একাডেমি, নজরুল ইনস্টিটিউট, সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতি, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, লালমাটিয়া বালিকা বিদ্যালয়, মোহাম্মদপুর উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়সহ শতাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, অভিভাবকরাও এসেছিলেন শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করতে।
এদিন রায়েরবাজার বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধের শহিদবেদিও সকাল থেকে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এবং সর্বস্তরের মানুষের ফুলে ফুলে ভরে ওঠে। বুদ্ধিজীবী দিবসের প্রথম প্রহরে মোমবাতি প্রজ্বালনের পর সকাল ৭টা থেকে বধ্যভূমি স্মৃতিসৌধে জড়ো হন শহিদ-পরিবারের সদস্য, রাজনীতিবিদ, মুক্তিযোদ্ধা, সামাজিক-সাংস্কৃতিকসহ সর্বস্তরের মানুষ। স্মৃতিসৌধ মুখরিত হয়ে ওঠে বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের পদচারণায়। অনেকেই পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে রায়েরবাজারে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন। ব্যানার হাতে সারিবদ্ধভাবে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন তারা।
সকাল ৭টার পর রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শ্রদ্ধা জানাতে আসেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক। এ সময় তিনি বলেন, চলতি বছরেই ১৪ ডিসেম্বরকে জাতীয় দিবস হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হবে। বুধবারও এ বিষয়ে আমাদের মিটিং হয়েছে। আবেদন যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। আশা করছি, ২৬ মার্চের আগে তা সম্পন্ন করা হবে।
সকাল ৮টায় শ্রদ্ধা জানাতে আসেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী, জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী হাছান মাহমুদ, কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স, বাসদের রাজেকুজ্জামান রতন, যুবলীগের সভাপতি শেখ ফজলে শামস পরশ, সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, ছাত্রলীগ সভাপতি সাদ্দাম হোসেন, সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনানসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেন, বাংলাদেশে বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি না থাকলে দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।
জাতীয় পার্টির পুষ্পস্তবক অর্পণ : শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেছে জাতীয় পার্টি। জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যানের পক্ষে প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু শহিদবেদীতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় এক র্যালিতে অংশ নেন জাতীয় পার্টির বিভিন্ন স্তরের নেতারা। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা আমানত হোসেন আমানত, খলিলুর রহমান খলিল, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি, যুগ্ম মহাসচিব সামছুল হক, বেলাল হোসেন, জাতীয় যুব সংহতির সাধারণ সম্পাদক আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন, যুগ্মসাংগঠনিক সম্পাদক হেলাল উদ্দিন, নির্বাহী সদস্য শফিকুল ইসলাম দুলাল, জাতীয় ছাত্রসমাজের সভাপতি আল মামুন, সাধারণ সম্পাদক আশরাফুজ্জামান খান, কেন্দ্রীয় সদস্য মেহেদী হাসান শিপন, আলমগীর হোসেন, আলমাস উদ্দিন, মহানগর উত্তরের নেতাদের মধ্যে মো. মাহফুজ মোল্লা, ড. নাসির উদ্দিন বকুল, রাজ মো. উমর ফারুক, চিশতী খায়রুল আবরার শিশির, নজরুল ইসলাম মুকুল, এসএম হাশেম, আবুল বাশার, শওকত হোসেন দুলাল, আসাদ খান, হাবিবুর রহমান হাবিব, রিয়াজ, ফারুক আহমেদ, আব্দুর রহিব, আরজু, যুব সংহতির দুলাল মৃধা, আমান উল্লাহ সরকার, ইঞ্জিনিয়ার মহিউদ্দিন প্রমুখ।
জেপির শ্রদ্ধা নিবেদন : জাতীয় পার্টি-জেপির মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলামের নেতৃত্বে বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাদেক সিদ্দিকী, মফিজুল হক বেবু, আজিজ বাঙাল, ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ হোসেন রেণু, যুগ্ম মহাসচিব আমিনুল ইসলাম তপন, ওকিল আহমেদ ওকাল, সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল খায়ের সিদ্দিকী আবু প্রমুখ। এছাড়াও রায়েরবাজার বদ্ধভ‚মিতে সকাল সাড়ে ৯টায় দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
শিশু একাডেমি : বাংলাদেশ শিশু একাডেমি প্রাঙ্গণে স্মৃতিচারণা ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী ফজিলাতুন নেসা ইন্দিরা বলেন, বিজয়ের দুই দিন আগে পরাজয় নিশ্চিত জেনে পাকিস্তানি হানাদার, স্বাধীনতাবিরোধী ও তাদের দোসররা বাংলাদেশকে মেধাশূন্য করতে বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে। অনুষ্ঠানে শিশু বয়সেই বাবাকে হারানো ও মুক্তিযুদ্ধের দিনগুলোর কথা শিশুদের সামনে তুলে ধরেন শহিদ বুদ্ধিজীবী সাংবাদিক সিরাজুদ্দীনের সন্তান জাহিদ রেজা নূর ও শহিদ বুদ্ধিজীবী শহীদুল্লা কায়সারের সন্তান শমী কায়সার। রেজা নূর বলেন, ১০ ডিসেম্বর রাত সাড়ে ৩টায় আলবদরদের সঙ্গে নিয়ে রুমে ঢোকে পাকিস্তানিরা। এরপর চোখ বেঁধে মাইক্রোবাসে তুলে নেন আমার বাবাকে। শমী কায়সার বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে আজ যুদ্ধাপরাধীদের বিচার হয়েছে। আজকের শহিদ বুদ্ধিজীবী দিবসের তাৎপর্য অন্যরকম।
শিশু একাডেমির চেয়ারম্যান লাকী ইনামের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব নাজমা মোবারেক। স্বাগত বক্তব্য দেন শিশু একাডেমির মহাপরিচালক আনজীর লিটন। আরও উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত সচিব মো. মুহিবুজ্জামান, মহিলাবিষয়ক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ড. কেয়া খান, জাতীয় মহিলা সংস্থার নির্বাহী পরিচালক আবেদা আক্তার প্রমুখ।
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে সবাইকে লড়াই করতে হবে- উপাচার্য সাদেকা হালিম : জবি প্রতিনিধি জানান, শহিদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ ও রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে শহিদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি বাংলাদেশে এখনো সক্রিয়। তাদের বিরুদ্ধে সবাইকে লাড়াই করতে হবে।