রাজধানীসহ সারা দেশে প্রায় ২০ লাখ পিছিয়ে পড়া ‘অস্পৃশ্য’ ঋষি সম্প্রদায় সাংবিধানিক মৌলিক অধিকার নিয়ে সমাজের মূলধারায় ফিরতে চায়। তারা চায় সমাজের অন্য সবার সঙ্গে স্বাভাবিকভাবে জীবনযাপন করতে। জাতিগত এ সংখ্যালঘু ঋষিদের সমাজে ‘অস্পৃশ্য’ সম্প্রদায় হিসাবে বিবেচনা করা হয়। তাই নিজেদের সাংবিধানিক অধিকার, সামাজিক ক্ষমতায়ন ও সরকারি সেবায় প্রবেশাধিকার সংরক্ষণের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন তারা। ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনী হলে বুধবার ঋষি সম্প্রদায়ের অধিকার সংরক্ষণবিষয়ক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বক্তারা। সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে অ্যাডভোকেসি ফোরাম ও গ্রাম বিকাশ সহায়ক সংস্থা (জিবিএসএস)।
ঋষি সম্প্রদায়ের গ্রাম পঞ্চায়েত কমিটির সভাপতি রতন দাস বলেন, আমরা হিন্দু দলিত সম্প্রদায় নই, আমরা ঋষি। আমাদের কাজ ধ্যান করা। আর বেঁচে থাকার জন্য আমরা কিছু কাজ করি। স্বাধীন দেশে আমরা অনেক লাঞ্ছনা, যন্ত্রণার মধ্যে আছি। মূলধনের অভাবে আমরা ব্যবসা করতে পারি না। অথচ পাশের দেশ এ চামড়াশিল্পে অনেক এগিয়ে গেছে। তাই আমরা যেন ভালোভাবে বাঁচতে ও চলতে পারি সেই দাবি জানাচ্ছি।
গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সম্পাদক কিশোর দাস বলেন, সারা দেশে আমরা প্রায় ২০ লাখ মানুষ বসবাস করছি। আমাদের নারীরা যেমন সুবিধাবঞ্চিত, তেমনি আমাদের শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও বাসস্থানের অসুবিধা রয়েছে। ১০-১২ ফুটের একটি ঘরে তিন প্রজন্ম এক সঙ্গে বসবাস করে। অ্যাডভোকেসি ফোরামের সদস্য মাসুদা ফারুক রত্না বলেন, ১০-১১ ফুট একটা ঘরে
বাবা-মা-ছেলে-মেয়ে মেয়ের জামাই একসঙ্গে থাকছে। এটা কী চিন্তা করা যায়! সংবাদ সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঋষি সম্প্রদায়ের কঙ্কা দাস ও প্রসেনজিৎ দাস। উপস্থিত ছিলেন- অ্যাসোসিয়েশন অব ডেভেলপমেন্ট এজেন্সিজ ইন বাংলাদেশের (এডাব) পরিচালক একেএম জসিম উদ্দিন, জাতীয় গার্হস্থ্য নারী শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোর্শিদা আক্তার।