একই সময়ে চাকরির দুই পরীক্ষা, বিপাকে চাকরিপ্রত্যাশীরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৯:৪৮ পিএম
ফাইল ছবি
আগামী ৮ ডিসেম্বর (শুক্রবার) একই সময়ে অনুষ্ঠিত হবে চাকরির দুই পরীক্ষা। তিন বিভাগের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম পর্বের লিখিত পরীক্ষা এবং ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের সদস্যভুক্ত ১০টি ব্যাংক/আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদে লিখিত পরীক্ষার সময়সূচি একই সময়ে পড়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন চাকরিপ্রত্যাশীরা।
প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, সহকারী শিক্ষক পদের প্রথম পর্বের (রংপুর, বরিশাল ও সিলেট বিভাগ) নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ৮ ডিসেম্বর। ২১ নভেম্বর সচিবালয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভায় জানানো হয়, প্রথম পর্বে ১৮টি জেলার ৫৩৫ কেন্দ্রে সকাল ১০টা থেকে এক ঘণ্টার এই লিখিত পরীক্ষা হবে। এ পর্বের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ জন।
বৃহস্পতিবার প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রথম ধাপের নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র আজ থেকে ডাউনলোড করতে পারবেন প্রার্থীরা। ইউজার আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে নির্ধারিত ওয়েবসাইটে লগইন করে তা ডাউনলোড করা যাবে।
এদিকে প্রাথমিক পরীক্ষার তারিখ ঘোষণার পর মঙ্গলবার ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সমন্বিত ১০টি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সিনিয়র অফিসার (সাধারণ) পদের লিখিত পরীক্ষার জন্যও একই তারিখ ঘোষণা করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের নিয়োগ-সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে বলা হয়েছে, ৯২২ শূন্য পদে লিখিত পরীক্ষা ৮ ডিসেম্বর সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ছয় কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হবে। এতে মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১০ হাজার ৫৭৪ জন। প্রাথমিকের ৩ লাখ ৬০ হাজার ৬৯৭ প্রার্থীর মধ্যে অনেকের ব্যাংকের পরীক্ষা একই দিনে পড়েছে। একই সময়ে পরীক্ষা হওয়ায় যে কোনো একটিতে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না তারা। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন চাকরিপ্রত্যাশী ও অভিভাবকরা।
বৃহস্পতিবার সিনিয়র অফিসার পদের পরীক্ষার তারিখ পুনর্নির্ধারণের জন্য ব্যাংকার্স সিলেকশন কমিটি সচিবালয়ের পরিচালক ও সচিব বরাবর আবেদন করেছেন পরীক্ষার্থীরা।
আবেদনপত্রে পরীক্ষার্থীরা বলেন, আমরা সমন্বিত ১০টি ব্যাংকের সিনিয়র অফিসার ও প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষক পদের পরীক্ষার্থী। দুটি চাকরিই আমাদের কাছে সমান গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু দুটি পরীক্ষা একই দিনে নির্ধারিত হওয়ায় আমরা বিপাকে পড়েছি। আমাদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে সিনিয়র অফিসার পদের লিখিত পরীক্ষার তারিখ পুনর্বিবেচনার জন্য অনুরোধ করছি।
সানাউল হক নামের এক অভিভাবক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লিখেছেন, চাকরির এই প্রতিযোগিতামূলক বাজারে অনেকের বয়স শেষ। অনেকে ধারদেনা করে টাকা দিয়ে এই নিয়োগ পরীক্ষায় আবেদন করেছেন। সেখানে কর্তৃপক্ষের এমন উদাসীনতা মেনে নেওয়া যায় না। আশা করছি, তারা এ বিষয়টি বিবেচনা করবে।