হুন্ডি বন্ধে আরও ভূমিকা রাখতে চান প্রবাসীরা
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ নভেম্বর ২০২৩, ১১:১৫ পিএম
প্রতীকী ছবি
ডলার সংকট নিরসনে প্রবাসী বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন রেমিট্যান্স কোম্পানিগুলো দেশে ব্যাংকিং চ্যানেলে প্রবাসী আয়ের অর্থ পাঠাতে আরও ভূমিকা রাখতে চায়। এ লক্ষ্যে হুন্ডি বন্ধ করে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স পাঠানোর জন্য তারা বিদেশে কাজ করছে। এ কার্যক্রমকে আরও গতিশীল করতে এবার তারা নন-রেসিডেন্ট বাংলাদেশি গ্লোবাল রেমিট্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন নামে একটি সংগঠন গঠন করেছেন। এতে মধ্যপ্রাচ্য, ইউরোপ, আমেরিকার বিভিন্ন দেশের বাংলাদেশি মালিকানাধীন রেমিট্যান্স কোম্পানিগুলোর প্রতিনিধিরা রয়েছেন।
সম্প্রতি তারা ‘হটাব হুন্ডি, বাঁচাব দেশ, গড়ব সোনার বাংলাদেশ’ শীর্ষক একটি আলোচনা সভার আয়োজন করেন যুক্তরাজ্যে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন যুক্তরাজ্যে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীম। অ্যাসোসিয়েশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাইদা মুনা তাসনীম বাংলাদেশে রেমিট্যান্স পাঠানোর ক্ষেত্রে বৈধপথ এবং মূলত ব্যাংকিং চ্যানেলগুলো ব্যবহারের ওপর জোর দেন। তিনি প্রবাসীদের প্রতি পেশাদার এবং বন্ধুত্বপূর্ণ পরিষেবার তাৎপর্য তুলে ধরেন। সর্বশেষ প্রযুক্তিগত উন্নয়নের সুবিধাগুলো গ্রহণ করে সুপরিচিত আন্তর্জাতিক অর্থ স্থানান্তর কোম্পানিগুলোর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে রেমিট্যান্স হাউসগুলোকে সেবার মান আরও উন্নত এবং বহুমুখী করতে পরামর্শ দেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনীমের উপস্থিতিতে শপথবাক্য পাঠ করেন সংগঠনের সভাপতি ইকরাম ফরাজি, সহ-সভাপতি সানাম মিয়া, ইতালি থেকে মোহাম্মদ ইদ্রিস ফরাজী, জাপান থেকে সরোয়ার সানি, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কামাল হোসেন, এএনএম ফরহাদ, মাসুদ রানা তপন, কানাডা থেকে গুলজার আহমেদ, যুক্তরাজ্য থেকে কামাল হোসেন, নওফেল জামির, বাংলাদেশ থেকে আনোয়ার ফরাজী, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে কাজী ফরহাদ কামাল, গ্রিস থেকে শাহীন তালুকদার, স্পেন থেকে আবু বক্কর আবদুল্লাহ, মধ্যপ্রাচ্য থেকে খোরশেদ আলম, মামুনুর রশিদ প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে ভিডিও বার্তার মাধ্যমে বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের (বিএফআইইউ) প্রধান মাসুদ বিশ্বাস বলেন, সরকার ও বাংলাদেশ ব্যাংক বৈধপথে রেমিট্যান্স আনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। প্রবাসী বাংলাদেশিদের মালিকানাধীন কোম্পানিগুলোর কমিটি গঠন একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। তিনি আশা করেন, এই সংগঠনের কার্যকর উদ্যোগের মাধ্যমে বৈধপথে রেমিট্যান্স প্রবাহ বৃদ্ধি পাবে।