এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নামলেই স্বাগত জানাবে বঙ্গবন্ধু টানেল
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ১৪ নভেম্বর ২০২৩, ০৭:৪৭ পিএম
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ চট্টগ্রামের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেছেন। প্রধানমন্ত্রী তার সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এই প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রয়াত মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে এই এলিভেটড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী উদ্বোধন করেন বায়েজিদ লিঙ্ক রোড ও বাকলিয়া এক্সেস রোড।
বঙ্গবন্ধু টানেলের ঠিক আগেই গোলচত্বর। এই চত্বরে দাঁড়ালেই একদিকে দেখা যাবে সমুদ্রের বিশাল নীল জলরাশি। গোলচত্বর মোড় থেকে একটি সড়ক গেছে টানেলের দিকে, আরেকটি গেছে সমুদ্রের কোল ঘেঁষে। মোড় থেকে সমুদ্রের বিপরীত পাশে তাকালেই এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। যেখান থেকে এটির যাত্রা শুরু হয়েছে।
৫৪ ফুট প্রশস্ত এবং চার লেনের এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে থাকছে ১৪টি র্যাম্প (এক্সপ্রেসওয়ে থেকে ওঠা ও নামার পথকে বলা হয় র্যাম্প)। এর মধ্যে জিইসি মোড়ে একটি, টাইগারপাসে দুটি, আগ্রাবাদে চারটি, ফকিরহাটে একটি, নিমতলায় দুটি, সিইপিজেডে দুটি এবং কেইপিজেড এলাকায় থাকবে দুটি র্যাম্প। মূল ফ্লাইওভারের প্রায় ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। বাকি কাজগুলো এখন চলছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৮ অক্টোবর চট্টগ্রাম গিয়ে বঙ্গবন্ধু টানেলের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে নামামাত্রই যাত্রীদের স্বাগত জানাবে বঙ্গবন্ধু টানেল। অর্থাৎ নগরের লালখান বাজার থেকে যাত্রা শুরু করা কোনো ব্যক্তি আধঘণ্টার ব্যবধানে কর্ণফুলী নদীসহ পাড়ি দিয়ে আনোয়ারা দিয়ে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে চলে যেতে পারবেন।
অন্যদিকে বাকলিয়া এক্সেস রোড এরই মধ্যে চালু হয়ে গেছে। আজ আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হয়। এই রোডটি চালু হওয়ায় নগরীর বহদ্দারহাট ও চকবাজার এলাকার যানজট অনেকটা কমে গেছে। মাত্র কয়েক মিনিটেই শহর থেকে মানুষ বের হয়ে কালামিয়া বাজারে চট্টগ্রাম কক্সবাজার মহাসড়কে গিয়ে উঠতে পারছে। তেমনিভাবে এই পথে দ্রুত শহরে প্রবেশ করা যাচ্ছে।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) প্রধান প্রকৌশলী কাজী হাসান বিন শামস বলেন, চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লালখান বাজার পর্যন্ত এই এক্সপ্রেসওয়ে চালু হলে ১৬ কিলোমিটার পথ পাড়ি দেওয়া যাবে মাত্র ২০ মিনিটে। যেখানে বর্তমানে নিচ দিয়ে এই সড়ক পাড়ি দিতে লাগছে এক থেকে দেড় ঘণ্টা। এতে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক রুটের বিমান যাত্রীরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি করে চট্টগ্রাম শহরের যানজটও কমবে। যানজটের কারণে জ্বালানি তেলের অপচয়, মানুষের কর্মঘণ্টার অপচয়, ফ্লাইট মিসহওয়াসহ যে ক্ষতি প্রতি বছর হয় তা টাকার অংকে নিরূপণ করা যাবে না। তবে মেগা প্রকল্পটি উদ্বোধন হলেও যান চলাচল শুরু হতে আরও মাসখানেক সময় লাগবে। কারণ বেশ কিছু কাজ এখনও বাকি আছে।