Logo
Logo
×

অন্যান্য

মেট্রোরেলে উপচেপড়া ভিড়, আধা ঘণ্টায় উত্তরা থেকে মতিঝিলে পৌঁছে উচ্ছ্বাস

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১০:৩৪ পিএম

মেট্রোরেলে উপচেপড়া ভিড়, আধা ঘণ্টায় উত্তরা থেকে মতিঝিলে পৌঁছে উচ্ছ্বাস

রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালুর প্রথম দিনে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। ট্রেনের প্রতিটি বগিতে দাঁড়িয়ে থাকারও উপায় ছিল না। যানজটের এই নগরীতে মাত্র আধা ঘণ্টার একটু বেশি সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনে উত্তরা থেকে মতিঝিল পৌঁছতে পেরে খুশি যাত্রীরা। বিশেষত সচিবালয়সহ অফিসপাড়ায় ব্যাপক উচ্ছ্বাস দেখা যায়। 

রাজধানীর আগারগাঁও থেকে মতিঝিল অংশে মেট্রোরেল শনিবার উদ্বোধন করা হয়। রোববার সকাল সাড়ে ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত এ অংশে যাত্রী বহন করা হয়। আর আগারগাঁও থেকে উত্তরা পর্যন্ত সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ট্রেন চলাচল করে আসছে। মতিঝিল পর্যন্ত মেট্রোরেল চালু হওয়ায় যাত্রীরা উত্তরা ও মিরপুর থেকে সরাসরি যেতে পারছেন। মতিঝিল, বাংলাদেশ সচিবালয় ও ফার্মগেট- এই তিনটি স্টেশন সচল রয়েছে। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত অংশের বাকি স্টেশনগুলো আগামী ৩ মাসের মধ্যে চালু করা হবে বলে জানিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। 

প্রথম দিনের যাত্রায় যাত্রী উপস্থিতি সন্তোষজনক ছিল বলে জানিয়েছেন মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন ছিদ্দিক। যুগান্তরকে তিনি বলেন, আমাদের প্রত্যাশা অনুযায়ী যাত্রী ছিল। প্রতিটি ট্রিপে যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড় ছিল। আগারগাঁও থেকে মতিঝিল পর্যন্ত প্রথম যাত্রী বহন করায় এদিন অনেক নতুন যাত্রী উঠেছেন। এর আগে কখনও তারা মেট্রোরেলে চড়েননি। মেট্রোরেল ব্যবহারের নিয়ম না জানায় তাদের অনেকেই দিক হারিয়ে ফেলেন। এমন নতুন যাত্রীদের সেবা দিতে কাল (সোমবার) থেকে স্টেশনগুলোতে অতিরিক্ত সাতজন করে সিনিয়র কর্মকর্তা থাকবেন। তারা যাত্রীদের টিকিট সংগ্রহ, ট্রেনে ওঠা এবং স্টেশন থেকে বাহির হওয়ার পথ সম্পর্কে দিকনির্দেশনা দেবেন। এছাড়া এমআরটি পাশ বিক্রির সময় বিকাল ৫টা পর্যন্ত বাড়ানো হবে। 

সকালে উত্তরা থেকে মতিঝিল আসেন বেসরকারি ব্যাংক কর্মকর্তা রিয়াজুল ইসলাম। তিনি বলেন, এটা আমার কাছে স্বপ্নের মতো একটি যাত্রা মনে হয়েছে। এত কম সময়ে কোনো যানজট ছাড়াই শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ট্রেনে মতিঝিল আসতে পারার আনন্দই আলাদা। ট্রেনে অনেক মানুষের ভিড় থাকায় দাঁড়িয়ে এলেও আমার কোনো কষ্ট অনুভূত হয়নি। বরং অবরোধের সময়ে নিজের গাড়ি ছাড়াই আরামে আসতে পেরেছি এতেই খুশি। 

উত্তরা থেকে মেট্রোরেলে চড়েন ঢাকা মেডিকেল কলেজের চিকিৎসক শারমিন আক্তার। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আমি উত্তরা থেকে উঠেছি। ব্যক্তিগত গাড়ি ছেড়ে দিয়ে মেট্রোরেলে চড়েছি। কারণ অবরোধে রাস্তাঘাট নিরাপদ নয়। আর মেট্রোরেলে মাত্র ৩০ মিনিটে সচিবালয়ে যাব। সেখান থেকে রিকশায় হাসপাতালে। ভাবছি, এরপর যখন ট্রেন পুরোপুরিভাবে চালু হবে, তখন মেট্রোতেই আসা-যাওয়া করব। গাড়ি উত্তরায়ই থাকবে। তিনি বলেন, সকালে বাসা থেকে গাড়িতে বের হলে কমপক্ষে দেড় ঘণ্টা লেগে যায়। আর বিকালে বাসায় ফেরার সময় তো ৩-৪ ঘণ্টায়ও পারি না। 

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম