পুলিশ কিভাবে বিএনপির সমাবেশ পণ্ড করল, ওরা হামলা করেছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৮ অক্টোবর ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বিএনপির মহাসমাবেশ চলাকালে পুলিশ রাজধানীর নাইটিঙ্গেল মোড়ও অতিক্রম করেনি। তারা কিভাবে এই সমাবেশ পণ্ড করল?ওরা (বিএনপি) পুলিশের ওপর হামলা করেছে।
শনিবার বিকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
পুলিশ মহাসমাবেশ পণ্ড করেছে বলে বিএনপির দাবির বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বিএনপির সমাবেশ কোথায় পণ্ড করা হলো? আমরা তো দেখলাম প্রধান বিচারপতির বাসায় তারা হামলা চালিয়েছে। এরপর তাদের ওখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ওরা ঘোষণা করেছিল— নাইটিঙ্গেল ও আরেকটি এলাকার কথা বলেছিল। এর বাইরে তারা আসবে না বলেছিল। পুলিশ তো সেই নাইটিঙ্গেলের ভেতরে ঢোকেনি। এখানে পণ্ড হলো কী করে? ওরা হামলা করেছে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে বলেন, প্রধান বিচারপতির বাসায় হামলা হয়েছে কখনও শুনছেন নাকি?
বিএনপি আগে থেকেই তাদের প্রস্তুতির কথা জানাচ্ছিল, এ বিষয়ে গোয়েন্দাদের কাছে কী তথ্য ছিল, পুলিশ সদস্যরা কেন সেটি মোকাবিলা করতে পারল না- জানতে চাইলে তিনি বলেন, পুলিশ সদস্যরা তো ওখানে ছিল। আওয়ামী লীগের একটা মিছিল যাচ্ছিল। হঠাৎ করে তার ওপরে ওরা অ্যাটাক করে। আওয়ামী লীগের পেছনে ধাওয়া করতে করতে তারা প্রধান বিচারপতির বাসভবনের গেট ভেঙে সেখানে ঢুকে পড়ে।
‘টিয়ারগ্যাস, সাউন্ড গ্রেনেড মেরে মহাসমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে পুলিশ’- বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, তারা তো এটা বলবে। তারা পুলিশ মেরে ফেলেছে, এখন এটা বলবে না? তারা আরও কতকিছু বলবে। এইটা তো স্বাভাবিক।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের একটি মিছিল যাচ্ছিল সেই মিছিলে বিএনপি অ্যাটাক (আক্রমণ) করেছে। ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউটের সামনে গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। একজন পুলিশ সদস্যকে নৃশংসভাবে ছাত্রদলের নেতারা চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করেছে। তাদের আগে থেকেই এইসব পরিকল্পনা ছিল ২০১৪ সালের মতো। পুলিশ খুব শান্তভাবে সব মোকাবিলা করেছে। কাল তারা (বিএনপি) হরতাল ডেকেছে গাড়িতে ভাঙচুর করবে, আগুন ধরাবে। তাদের শক্ত হাতে দমন করা হবে।
সরকারের পক্ষ থেকে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে- জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, যারা এগুলো করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জনমনে আতঙ্কের বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই আতঙ্ক ছড়ানোর জন্যই তো তারা এটা করেছে। তাদের উদ্দেশ্য ছিল এটাই।
উল্লেখ্য, রাজধানীর বিজয়নগর-কাকরাইল-রমনা এলাকায় পুলিশের সঙ্গে বিএনপির নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের জেরে দলটির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে গেছে। দুপুরে সংঘর্ষের সময় বিএনপির নেতাকর্মীরা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে পুলিশের ওপর। তাদের ছত্রভঙ্গ করতে বিভিন্ন অলিগলি ও রাস্তায় ক্রমাগত রাবার বুলেট, টিয়ারশেল ও সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়তে দেখা যায় পুলিশকে। এতে নয়াপল্টন-বিজয়নগর-কাকরাইল এলাকা পুরো ফাঁকা হয়ে যায়।