‘ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে আরব বিশ্ব দোদুল্যমান’
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৭ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:২৯ পিএম
বাংলাদেশের রাজনীতিতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ নিয়ে কোনো বিভক্তি নেই। সবাই ফিলিস্তিনের পক্ষে। ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে আরব বিশ্ব দোদুল্যমান। এখনো তারা জোটবদ্ধ হতে পারেনি। তবে এবার নড়েচড়ে বসেছে।
শুক্রবার এফডিসিতে ইসরাইল-ফিলিস্তিন সংকট নিরসনে জাতিসংঘের ভূমিকা নিয়ে এক ছায়া সংসদে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির এসব কথা বলেন।
ইউসিবি পাবলিক পার্লামেন্ট শিরোনামে প্রতিযোগিতাটি আয়োজন করে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি। সভাপতিত্ব করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
ছায়া সংসদে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকার স্টেট ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ-এর বিতার্কিকরা চ্যাম্পিয়ন হয়। প্রতিযোগিতায় বিচারক ছিলেন অধ্যাপক আবু মুহাম্মদ রইস, সাংবাদিক মাঈনুল আলম, মাসুদ করিম, সাংবাদিক একেএম মঈনুদ্দিন ও সাংবাদিক ঝুমুর বারী। প্রতিযোগিতা শেষে চ্যাম্পিয়ন ও রানারআপ দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
সাবেক রাষ্ট্রদূত এম. হুমায়ুন কবির বলেন, এই যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া সৌদি আরব ও ইরানের মধ্যে কথোপকথন শুরু হয়েছে। এটি ইতিবাচক। ইসরাইল-ফিলিস্তিন যুদ্ধ একটি সহিংস চক্রের মধ্যে পড়েছে। এই যুদ্ধে ফিলিস্তিনই ন্যায়ের পক্ষে আছে। এটি হঠাৎ কোনো ঘটনা নয়। দীর্ঘ বঞ্চনার প্রতিফলন। গাজায় আজ যে নৃশংসতা ও মানবিক বিপর্যয় ঘটেছে তার কোনো ব্যাখ্যা নেই।
তিনি জানান, ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে দুটি স্বতন্ত্র রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেওয়া উচিত। যাতে দুটি রাষ্ট্র পাশাপাশি শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করতে পারে।
হুমায়ুন কবির বলেন, জাতিসংঘ ছাড়া আর কোনো প্রতিষ্ঠান নেই যারা ইসরাইল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে মধ্যস্থতা করতে পারে। তাই বিশ্ব বিবেককে জাগ্রত করে ফিলিস্তিন-ইসরাইল সংকট সমাধানে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’র চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, গাজায় খাদ্য নেই, পানি নেই, বিদ্যুৎ নেই, চিকিৎসা নেই। হাসপাতালে লাশের সারি। চতুর্দিকে লাশের গন্ধ। বেঁচে থাকা মানুষগুলো তাঁবুতে অবস্থান করেও মৃত্যুঝুঁকি এড়াতে পারছে না। রাতে প্রচন্ড ঠান্ডা, শীতবস্ত্র নেই। দিনে আবার প্রচন্ড গরম। ছোট্ট শিশু ও বৃদ্ধদের নিয়ে অমানবিক জীবন-যাপন করছে গাজাবাসী। আন্তর্জাতিক মহলের অনুরোধে যে সামান্য ত্রাণ দেওয়া হচ্ছে, গাজার মানুষ বলছে তার চেয়ে বেশি রক্ত ঝরেছে।