দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে চাপ তৈরি করতে হবে: আনু মুহাম্মদ
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২১ অক্টোবর ২০২৩, ০৯:২৭ পিএম
অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেছেন, দেশের ওষুধ শিল্প বাণিজ্য মাফিয়াদের হাতে চলে গেছে। ফলে চিকিৎসা সেবা নিতে গিয়ে সাধারণ মানুষ সর্বস্বান্ত হচ্ছে। অপরদিকে আয়ুর্বেদ-ইউনানীর উন্নয়নে প্রয়োজনীয় প্রতিষ্ঠান তৈরি হচ্ছে না। এ বিষয়ে আমলাদেরও কোনো ধারণা নেই। দেশে মাত্র ২০ শতাংশ মানুষ অ্যালোপ্যাথি চিকিৎসা করে। তাই আমাদের দেশীয় চিকিৎসা পদ্ধতির বিকাশে চাপ তৈরি করতে হবে।
শনিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির নসরুল হামিদ মিলনায়তনে আয়োজিত ‘আয়ুর্বেদ ও ইউনানীবিষয়ক জাতীয় সংলাপে’ প্রাণ-প্রকৃতি-প্রতিবেশ-পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সংগঠক আনু মুহাম্মদ এসব কথা বলেন।
বাংলাদেশ আয়ুর্বেদ ও ইউনানী চিকিৎসা শাস্ত্র ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের সম্ভাবনা, সমস্যা ও প্রতিকারবিষয়ক তথ্য জাতীয় পর্যায়ে তুলে ধরতে প্রাচীন ও চিরায়ত চিকিৎসা ব্যবস্থায় অগ্রগামী জাতীয় স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘প্রাচি’ এর আয়োজন করে। এতে প্রাচির স্থায়ী কমিটির সদস্য মোখলেছুর রহমান মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন।
সংগঠনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে জাতীয় সংলাপে ইউনানী ও আয়ুর্বেদ চিকিৎসা ও শিক্ষামান উন্নয়নে ১৮টি সুপারিশ করা হয়। সর্বসম্মতিক্রমে সুপারিশগুলো গৃহীত হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফিরোজ বলেন, ইউনানী ও আয়ুর্বেদের গুণগত এবং শিক্ষামানের একসঙ্গে উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য আলাদা কাউন্সিল করতে হবে। এ কাউন্সিল দেশি-বিদেশি সব পর্যায়ের শিক্ষামানের অনুমোদন দেবে। ওষুধ উৎপাদনেরও গুণগত মান নিয়ন্ত্রণ জরুরি।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব হেলথ সায়েন্সের সাবেক উপাচার্য ও বাংলাদেশ একাডেমি অব সায়েন্সের ফেলো অধ্যাপক ডা. লিয়াকত আলি বলেন, ২০১৬ সালে হেলথ প্রফেশনাল কাউন্সিল পাশ হলেও এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। রেজিস্ট্রেশন অথরিটিও নেই। ইউনানী-আয়ুর্বেদ শিক্ষাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টির আওতায় আনতে হবে।
জাতীয় সংলাপে বক্তব্য দেন দার্শনিক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. আনিসুজ্জামান, প্রাচির কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সালেহ মুহাম্মদ আবদুর রহমান, কলামিস্ট ও লেখক রাখাল রাহা, আইন ও সালিশ কেন্দ্রের সাবেক প্রধান নির্বাহী শিপা হাফিজা, গবেষক ও শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. মাসফিদা আক্তার, ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টসের সাধারণ শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. শাহনাজ হুসনে জাহান, প্রবীণ বান্ধব বাংলাদেশের চেয়ারপারসন মিতালী হোসেন প্রমুখ।