Logo
Logo
×

অন্যান্য

সব বন্ধ কারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালুর দাবি

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ০৩ অক্টোবর ২০২৩, ০৭:৫৪ পিএম

সব বন্ধ কারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালুর দাবি

ফাইল ছবি

পাট ও চিনিকল, সুতা ও বস্ত্রকলসহ বন্ধ সব কল-কারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু করাসহ ১১ দাবি জানিয়েছে দেশের আটটি ট্রেড ইউনিয়ন নিয়ে নবগঠিত শ্রমিক জোট ‘জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদ’।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে শ্রমিকদের ১১ দফা দাবিতে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি জানানো হয়।

১১ দফা দাবিগুলো হলো- জাতীয় ন্যূনতম মজুরি ২০ হাজার টাকা নির্ধারণ, বিরাষ্ট্রীয়করণ বন্ধ, পাট ও চিনিকল, সুতা ও বস্ত্রকলসহ সব বন্ধ কল-কারখানা রাষ্ট্রীয় মালিকানায় চালু, শ্রমিক স্বার্থবিরোধী শ্রম আইন ও বিধিমালা বাতিল করে গণতান্ত্রিক শ্রম আইন এবং বিধিমালা প্রণয়ন, নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানো, শ্রমিকের জন্য সপ্তাহে পূর্ণ রেশনিং চালু, শ্রমিকদের জন্য আবাসন প্রকল্প গ্রহণ, কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত, শ্রমিকের স্বাস্থ্য ও চিকিৎসার অধিকার নিশ্চিত, ইপিজেডসহ সর্বত্র অবাধ ট্রেড ইউনিয়ন অধিকার, ধর্মঘট করার গণতান্ত্রিক অধিকার হরণের ‘অত্যাবশ্যক পরিষেবা বিল-২০২৩’ বাতিল, লে-অফ, লক-আউট, ছাঁটাই-নির্যাতন, মিথ্যা মামলা-গ্রেফতার ও হয়রানি বন্ধ করে পুনর্বাসন ছাড়া হকার উচ্ছেদ না করা ও সব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, গার্মেন্টস শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ২৫ হাজার টাকা করা, চা শ্রমিকের ভূমির অধিকার ও দৈনিক মজুরি ৫০০ টাকা নির্ধারণসহ সব বকেয়া পাওনা পরিশোধ, নীতিমালা প্রণয়ন করে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান-ইজিবাইকের লাইসেন্স ও রুট পারমিট দেওয়া, পরিবহণ-ট্যানারি-নির্মাণ-চাতাল-মৎস্যজীবী-দর্জি শ্রমিক ও গৃহশ্রমিকসহ সব সেক্টরের শ্রমিকের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা ও ন্যায়সঙ্গত সব দাবি মেনে নেওয়ার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন বাংলাদেশ শ্রমিক কর্মচারী ফেডারেশনের সভাপতি জহিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রামের সবল আকাঙ্ক্ষা পদদলিত করে পুঁজিপতি শ্রেণি দেশে নির্মম ফ্যাসিবাদী শাসন কায়েম করেছে। মুষ্টিমেয় পুঁজিপতি গোষ্ঠী যত সংহত হচ্ছে ফ্যাসিবাদ তত দৃঢ় হচ্ছে।’

এ সময় সংগঠনের নেতারা বলেন, দাবিগুলো পূরণ না হলে অবিলম্বে সারা দেশে সমস্ত জেলা-উপজেলা-শিল্পাঞ্চল-কারখানায় গেট মিটিং, কর্মিসভা, সমাবেশ, মিছিল, পদযাত্রার কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। প্রয়োজনে একই সঙ্গে সর্বাত্মক শ্রমিক ধর্মঘট-অবরোধের কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সংবাদ সম্মেলন শেষে তারা শ্রম মন্ত্রণালয় অভিমুখে মিছিল করে স্মারকলিপি পেশ করতে যান।

গার্মেন্টস শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়ন কেন্দ্রের উপদেষ্টা আব্দুল্লাহ ক্বাফী রতনের সঞ্চালনায় এ সময় সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক মনজুরুল আহসান খান, শ্রমজীবী আন্দোলনের আহ্বায়ক হারুনার রশিদ ভূঁইয়া, জাতীয় শ্রমিক ফেডারেশন বাংলাদেশের সাধারণ সম্পাদক শামীম ইমাম, শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক এএফএম ফয়েজ হোসেন, ট্রেড ইউনিয়ন ফেডারেশনের সভাপতি আলিফ দেওয়ান, বিপ্লবী শ্রমিক সংহতির সভাপতি মীর মোফাজ্জল হোসেন মোস্তাক, শ্রমজীবী সংঘের সভাপতি আব্দুল আলী প্রমুখ শ্রমিক নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম