যেভাবেই হোক জানুয়ারির মধ্যে নির্বাচন, নইলে অরাজকতা হবে: ইসি আলমগীর
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৫:০৯ পিএম
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর বলেছেন, ‘যেভাবেই হোক সংবিধান অনুযায়ী জানুয়ারির ২৯ তারিখের মধ্যে নির্বাচন হতে হবে। সেটি না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। এতে দেশে একটা অরাজকতা পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে। সেটাতো নির্বাচন কমিশন হতে দিতে পারে না।’
মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁও নির্বাচন ভবনে কমিশনারের কাছে সাংবাদিকরা জানতে চেয়েছিলেন যে আপনারা তো ভোটের জন্য শতভাগ প্রস্তুত কিন্তু রাজনৈতিক পরিস্থিতিকে নির্বাচনমুখী মনে করছেন কিনা? জবাবে ওই কথাগুলো বলেন তিনি।
ইসি আলমগীর বলেন, ‘আমরা কিন্তু সরকারি বা কোনো প্রতিষ্ঠানের কর্মচারী না। আমরা সংবিধান অনুযায়ী শপথ নিয়েছি। সেই শপথ আমাদের পূরণ করতে হবে।’
এ সময় সাংবাদিকদের আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আগামী ২০২৪ সালের ২৯ জানুয়ারির মধ্যে অনুষ্ঠিত না হলে সাংবিধানিক শূন্যতা তৈরি হবে। ওই নির্বাচনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) পূর্ণাঙ্গ দল না পাঠালেও আরও অনেক দেশ আছে। সার্কভুক্ত দেশগুলোকে (আফগানিস্তান, ভুটান, ভারত, মালদ্বীপ, নেপাল, পাকিস্তান ও শ্রীলঙ্কা) আমন্ত্রণ জানাবে নির্বাচন কমিশন।
আলমগীর বলেন, ‘নীতিমালা অনুযায়ী যেকোনো দেশের যেকোনো সংস্থা আবেদন করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ফেম্বোসার সদস্যদের দেশ বিশেষ করে আমাদের আশপাশের যেসব দেশ আছে তাদের আমরা ইনভাইট করি। আমরা শিগগিরই তাদের ইনভাইট জানাব। সার্কভুক্ত দেশগুলো আমন্ত্রণ জানানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আগামী মাসে তাদের আমন্ত্রণ জানিয়ে চিঠি দেওয়া হবে।’
ভোটের আগে বিদেশি পর্যবেক্ষকেরা আসবেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমরাতো আশা করি আসবেন।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে ইসি আলমগীর বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন তো একটি সংস্থা। পৃথিবীতে তো আরও অনেক দেশ আছে। এশিয়া, অস্ট্রেলিয়ায় অনেক দেশ আছে, সার্কভুক্ত দেশে আছে। এসব দেশ থেকে আসতে পারে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বলেছে পূর্ণাঙ্গ না, ছোট পরিসরে আসতে পারে। পরবর্তীতে হয়তো তারা মনেও করতে পারে বড় পরিসরে আসব। এটাতো চূড়ান্ত কোনো কথা না।’
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমেরিকা আসবে না সেটাতো বলেনি। আমেরিকা আসলে আমরাতো খুশি। আমরাতো বলেছি সবাই আসেন। যে সমস্ত যোগ্যতার প্রয়োজন, যে সমস্ত শর্ত আছে সেগুলো পূরণ করলে সবাই আসতে পারবে।’
এ সময় কমিশনারের কাছে নির্বাচনের পরিবেশ সম্পর্কেও জানতে চান সাংবাদিকরা। জবাবে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে হয়তো অনেকে কথা বলছেন। পরিবেশ যাতে সুন্দর করা যায় তার জন্য আমরা চেষ্টা করব। পরিবেশের সবটা সুন্দর করার দায়িত্বতো আমাদের না। পরিবেশ সুন্দর করতে আমাদের যেটুকু দায়িত্ব সেটুকু আমরা করে যাচ্ছি।’
রাজনৈতিক দলগুলো কি ভোটের পথে- এমন প্রশ্নের জবাবে ইসির এই কমিশনার বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংকট আছে। নির্বাচন চায় না এমনটা কেউ বলছে না। আমাদের নিবন্ধিত যে রাজনৈতিক দল আছে কোনো দলই নির্বাচন চায় না এটা বলেনি। আমরা কেন নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব না।’