এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচ দিনে বিআরটিসির আয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা
![Icon](https://cdn.jugantor.com/uploads/settings/icon_2.jpg)
ফখরুল ইসলাম
প্রকাশ: ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৪০ পিএম
![এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে পাঁচ দিনে বিআরটিসির আয় সাড়ে ৫ লাখ টাকা](https://cdn.jugantor.com/assets/news_photos/2023/09/24/image-721748-1695573636.jpg)
ফাইল ছবি
ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে বিআরটিসি বাস চালুর পর ক্রমেই বাড়ছে যাত্রীর চাপ। প্রতি ১০ মিনিট পরপর বাস ছেড়ে যাওয়ায় খুব সহজেই খামারবাড়ি থেকে উত্তরা চলাচল করা যাচ্ছে। যানজট থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়ায় স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলছেন যাত্রীরা। বাস সার্ভিস চালুর পর প্রথম ৫ দিনে সাড়ে ১৫ হাজার যাত্রী চলাচল করেছেন। এতে বিআরটিসির আয় হয়েছে ৫ লাখ ৬০ হাজার টাকা।
রোববার এক্সপ্রেসওয়ের ফার্মগেট ও খামারবাড়ি এলাকায় কয়েকজন যাত্রীর সঙ্গে কথা হয় প্রতিবেদকের। আলী হোসাইন নামে এক যাত্রী জানান, উত্তরা থেকে এক্সপ্রেসওয়ে ব্যবহার করে শাহবাগ যেতে তার সময় লেগেছে ৪০ মিনিট। যেখানে আগে সময় লাগত ২ ঘণ্টারও বেশি। এ নিয়ে উচ্ছ্বসিত তিনি।
বেসরকারি চাকরিজীবী মো. হেলাল জানান, তার অফিস বাংলামোটরে। আগে উত্তরার বাসা থেকে অফিসে আসতে তার দুই থেকে আড়াই ঘণ্টা সময় হাতে নিয়ে বের হতে হতো। এক্সপ্রেসওয়েতে বিআরটিসি বাস চালু হওয়ার পর এত সময় নিয়ে বের হতে হয় না। প্রতিদিন আসা-যাওয়ায় তার ৪ ঘণ্টার বেশি সময় সাশ্রয় হচ্ছে।
বর্তমানে খামারবাড়ি থেকে উত্তরার জসীমউদ্দীন পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচল করে। তবে এই পথের মধ্যে কোনো স্টপেজ নেই। যদিও কয়েকটি স্থানে স্টপেজ রাখা হলে যাত্রীর সংখ্যা আরও বাড়বে। কয়েকজন যাত্রী জানান, কাওলা দিয়ে বিআরটিসি বাস উঠার সময় অনেক যাত্রী বাসের সামনে এসে দাঁড়িয়ে যান। কারণ সেখানে টিকিট কাউন্টার নেই। ফলে বাধ্য হয়ে টিকিট ছাড়াই তাদের বাসে উঠান চালক ও হেলপাররা।
এক্সপ্রেসওয়ের এই অংশে কুড়িল বিশ্বরোড, বনানী ও মহাখালীর মতো গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় র্যাম্প রয়েছে। কিন্তু র্যাম্পগুলো দিয়ে যাত্রী ওঠানামার সুবিধা নেই। যে কারণ ফার্মগেট ও উত্তরার মধ্যবর্তী এলাকার যাত্রীরা এ সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন।
এ ব্যাপারে বিআরটিসির চেয়ারম্যান ও অতিরিক্ত সচিব মো. তাজুল ইসলাম যুগান্তরকে বলেন, ‘প্রতিটি র্যাম্প দিয়ে বিআরটিসি বাস ওঠানামা করার পরিকল্পনা রয়েছে। যাত্রীদের সুবিধার্থে ধাপে ধাপে এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে।’
১৮ সেপ্টেম্বর বিআরটিসি বাস চালু হওয়ার পর থেকেই যাত্রী চলাচল বাড়ছে। প্রথম দিনে ৮টি বাস দিয়ে উদ্বোধন হয় এ সার্ভিস। এরপর চাহিদা বাড়তে থাকায় বাস বাড়িয়ে ১৩টি করা হয়েছে। এ সংখ্যা আরও বাড়ানোর কথা জানিয়েছে বিআরটিসি। তবে শুক্র ও শনিবার যাত্রী কম থাকায় বাসের সংখ্যা কম থাকে।
বিআরটিসির চেয়ারম্যান জানান, প্রথম দিন থেকেই বিআরটিসি লাভজনক অবস্থানে রয়েছে। যেখানে বিআরটিসি কর্তৃপক্ষ টোল দিয়েও যাত্রীদের কাছ থেকে কোনো বাড়তি ভাড়া নিচ্ছে না। তিনি বলেন, প্রতিদিনই যাত্রীর চাপ বাড়ছে। প্রথম আমরা ৮টি বাস দিয়েছিলাম। কিন্তু এতে চাপ সামলানো কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই বাসের সংখ্যা আরও বাড়ানো হয়। এখন পর্যন্ত একদিনে ১৩টি বাস নামানো হয়েছে। একটি বাস প্রতিদিন অন্তত ৬টি ট্রিপ দিয়ে থাকে।
২ সেপ্টেম্বর ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাওলা থেকে ফার্মগেট প্রথম অংশের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর পরদিন থেকেই মোটরসাইকেল ও থ্রি হুইলার ছাড়া অন্যান্য সব যানবাহনের জন্য খুলে দেওয়া হয় এ সড়ক। এরপর গণপরিবহণ হিসাবে ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয় বিআরটিসির পরীক্ষামূলক বিশেষ বাস সার্ভিস। যাত্রী পাওয়া সাপেক্ষে বেশি রাত পর্যন্ত বিআরটিসি বাস চলাচলের কথা থাকলেও আপাতত রাত ৯টা পর্যন্ত সার্ভিস চালু রেখেছে কর্তৃপক্ষ।