জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতাল
জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকের কক্ষ দখলের অভিযোগ সহকর্মীর বিরুদ্ধে
যুগান্তর প্রতিবেদন
প্রকাশ: ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫০ পিএম
জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক ও কোর্স পরিচালক অধ্যাপক ডা. অমল কুমার চৌধুরীর কক্ষ দখলের অভিযোগ উঠেছে। তার সহকর্মী ডা. মাহবুবুর রহমান বাবু রোববার কক্ষের তালা ভেঙে দখলে নেন বলে জানা গেছে। শুধু তাই নয়, অধ্যাপক অমল কুমার চৌধুরীর নামফলক ফেলে দিয়ে নিজের নামফলক লাগিয়েছেন মাহবুবুর রহমান।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, ইনস্টিটিউটের ৩৩৪ নম্বর কক্ষটি প্রতিষ্ঠানের জ্যেষ্ঠতার দিক থেকে দ্বিতীয় ব্যক্তির জন্য বরাদ্দ থাকে। যিনি হাসপাতালের ২নং ইউনিটের প্রধান এবং একই সঙ্গে স্নাতকোত্তর পর্যায়ের কোর্স পরিচালকের দায়িত্বে থাকেন তার নামে বরাদ্দ থাকে রুমটি। অধ্যাপক অমল চৌধুরী দীর্ঘদিন এই পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।
সম্প্রতি তিনি অবসরোত্তর ছুটিতে গেলেও একাডেমিক দায়িত্ব পালন করছেন। এমনকি সরকার তার চাকরির মেয়াদ দুই বছর অগ্রগামী করেছে বলেও তাকে জানানো হয়েছে। যদিও এখনো চিঠি পাননি।
এদিকে অধ্যাপক অমল অবসরে গেলেও আরও ৫ জন জ্যেষ্ঠ অধ্যাপক হাসপাতালে কর্মরত রয়েছেন। ফলে এই কক্ষ জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতেই বরাদ্দ হওয়ার কথা। ডা. মাহবুবুর রহমান ৮নং ইউনিটের দায়িত্বে, তার এই কক্ষ পাওয়ার কোনো সুযোই নেই।
এ বিষয়ে অধ্যাপক অমল কুমার চৌধুরী যুগান্তরকে বলেন, ‘রোববার আমি ঢাকা মেডিকেল কলেজের একটি পরীক্ষার দায়িত্বে ছিলাম। ওই সময়ে আমার অফিস সহকারী ফোন করে রুম দখলের বিষয়টি জানান। ডা. মাহবুবুর রহমান বাবু আমার একজন ছাত্র। তিনি আমার রুমে প্রবেশর আগে অনুমতি নেননি। কক্ষের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়েছেন, এমনকি আমার নামফলক সরিয়ে নিজের নামফলক লাগিয়েছেন।’
জানতে চাইল ডা. মাহবুবুর রহমান বাবু যুগান্তরকে বলেন, আমি কোনো কক্ষ দখল করিনি। স্যার সাড়ে ৩ মাস আগে অবসরে গেছেন। এখনো স্যারের দখলেই কক্ষ আছে। আমি একদিনও স্যারের কক্ষে বসে অফিস করিনি।
তিনি আরও বলেন, একটা হাসপাতালে কে কোন কক্ষে বসবেন সেটির নিয়ম রয়েছে। তবে বিষয়টি কোনো জাতীয় গণমাধ্যমে আলোচনা হওয়ার মতো কিছু নয়। স্যার বলেছেন তিনি চলে গেলে যেন আমি ওই কক্ষে বসি। কক্ষের দুটি চাবি স্যারের পিয়নকে এবং দুটি চাবি আমার অ্যাটেনডেন্টকে দিয়েছেন। আমার মনে হচ্ছে এর পেছনে কোনো তৃতীয় পক্ষ কাজ করছে।
এ বিষয়ে হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. মীর জামাল উদ্দিনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু তিনি সাড়া দেননি।