Logo
Logo
×

অন্যান্য

মানব পাচারকারীদের তথ্যভান্ডার করা হচ্ছে: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

Icon

সংসদ প্রতিবেদক

প্রকাশ: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:০৯ পিএম

মানব পাচারকারীদের তথ্যভান্ডার করা হচ্ছে: সংসদে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, ক্রাইম ডাটা ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম (সিডিএমএস) সফটওয়্যারের মাধ্যমে মানব পাচারকারীদের তথ্যভান্ডার করা হচ্ছে।

তিনি আরও বলেন, দেশের ভেতর এবং বাইরে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধ কার্যকরভাবে প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থার সমন্বয়ে নানামুখী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।

রোববার জাতীয় সংসদে এম. আব্দুল লতিফের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানব পাচার সংশ্লিষ্ট অপরাধ বিশেষত নারী ও শিশুদের প্রত্যাবাসন ও পুনর্বাসন সংক্রান্ত বিষয়ে পারস্পরিক সহযোগিতার জন্য প্রতিবেশী ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের একটি সমঝোতা স্মারক রয়েছে। মানব পাচারকারীদের বিরুদ্ধে মানবপাচার প্রতিরোধ ও দমন আইন, ২০১২’ এ কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ, সীমান্ত এলাকায় ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে কঠোর নজরদারি, ভিকটিমদের দ্রুত উদ্ধার, সুরক্ষা ও পুনর্বাসন সহায়তা দেওয়াসহ বিভিন্ন কার্যক্রম নেওয়ার ফলে দেশে বর্তমানে মানব পাচার সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন অপরাধ কার্যকরভাবে প্রতিরোধ করা সম্ভব হচ্ছে।

মাদক উদ্ধার : এম. আব্দুল লতিফের আরেক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী। আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো ২০২২ সালে সারা দেশে অভিযান চালিয়ে এক লাখ ৯৩ হাজার ৩৩১ কেজি আইস ও ১৬৭টি এলএসডি জব্দ করেছে। এই সময়ে এক লাখ ৩২১টি মামলা দায়ের এবং এক লাখ ২৪ হাজার ৭৭৫ জন অবৈধ মাদক কারবারিকে আইনের আওতায় আনা হয়েছে। এই সময়ে ৪ কোটি ৫৮ লাখ ৬৮ হাজার ৫৬৯ পিস ইয়াবা, এক লাখ ১৫ হাজার ৩৬৮ কেজি গাঁজা, ৭ লাখ ৬ হাজার ৬১ বোতল ফেনসিডিল, ৩৩৮ কেজি হেরোইনসহ অন্যান্য মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়েছে।

স্বরাস্ট্রমন্ত্রী জানান, মিয়ানমারের নাফ নদ হয়ে দেশে এমফিটামিন (ইয়ারা) ও ক্রিস্টাল মেথ (আইস) অনুপ্রবেশ করে। ইয়াবা ও ক্রিস্টাল মেথ (আইস) প্রতিরোধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অধীন টেকনাফ ও উখিয়া উপজেলার সমন্বয়ে ‘টেকনাফ বিশেষ জোন’ স্থাপন করা হয়েছে। 

কারাগারে ধারণক্ষমতা : কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি-সংক্রান্ত এম. আব্দুল লতিফের অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দেশের কারাগারগুলোতে ধারণক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দি রয়েছে। বর্তমানে কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬ জন হলেও বন্দির সংখ্যা ৭৭ হাজার ২০৩ জন। যশোর, সিলেট, দিনাজপুর, ফেনী, পিরোজপুর ও মাদারীপুর কারাগার ছাড়া বর্তমানে দেশের সব কারাগারে ধারণক্ষমতার চেয়ে অতিরিক্ত বন্দি আটক রয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে সর্বোচ্চ ৯ হাজার ৭৬৫ জন বন্দি রয়েছে। এই কারাগারের ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন। ঝালকাঠি জেলা কারাগারে সর্বনিম্ন ১৮৯ জন বন্দি রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, কারাগারের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি একটি চলমান প্রক্রিয়া। বর্তমানে ময়মনসিংহ, কুমিল্লা, খুলনা, নরসিংদী ও জামালপুর- এই ৫টি কারাগার নির্মাণ ও সম্প্রসারণের কাজ চলছে। কারাগারগুলোর নির্মাণকাজ শেষ হলে বন্দি ধারণক্ষমতা প্রায় ৫ হাজার বাড়বে।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম