Logo
Logo
×

অন্যান্য

এবার রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের আলটিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা

Icon

যুগান্তর প্রতিবেদন

প্রকাশ: ৩১ আগস্ট ২০২৩, ০৪:৪৪ পিএম

এবার রেলের অস্থায়ী শ্রমিকদের আলটিমেটাম, কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা

ফাইল ছবি

রানিং স্টাফের পর এবার কঠোর আন্দোলনের ঘোষণা দিয়েছে রেলওয়েতে কর্মরত অস্থায়ী (টিএলআর) শ্রমিকরা। ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে চাকরি স্থায়ীকরণে কোনো পদক্ষেপ না নিলে আগামী ৩ সেপ্টেম্বর ঢাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দেয় তারা।

এদিকে অস্থায়ী শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়ে শ্রমিকদের চলমান আন্দোলন সাময়িকভাবে স্থগিত রাখার অনুরোধ জানায় রেল কর্তৃপক্ষ। যা গত ১৬ জুলাই থেকে স্থগিত ছিল।

গত ১৬ জুলাই রেলওয়ের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী টিএলআর খাতে ৬ মাসের বাজেট বরাদ্দ দিয়ে অব্যাহতিপ্রাপ্ত শ্রমিকদের দ্রুত পুনর্বহাল করার সিদ্ধান্ত নিলেও অর্থ মন্ত্রণালয় এবং রেলপথ মন্ত্রণালয় থেকে বাজেট ও পুনর্বহালের কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি। যদিও গত ১০ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয় এক চিঠিতে জানায়, রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ রেল সচিবের মাধ্যমে আউটসোর্সিং সেবা গ্রহণের কার্যক্রম চলমান রেখেছে।

শ্রমিকরা বলেন, গত ৩ মাস বেতন ও চাকরি নেই। তাও শ্রমিকেরা কাজ করে যাচ্ছে। প্রশাসন চাকরি করাচ্ছে কিন্তু কোনো সমাধান দিচ্ছে না। আমাদের পরিবার কিভাবে চলবে এটা কি তারা বুঝে। গত ৮ আগস্ট রেলমন্ত্রী চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে আশ্বাস দিলেও তার কোনো উদ্যোগ আদৌ নেওয়া হয়নি। 

শ্রমিকদের দাবি, সরকারি গেজেট বাস্তবায়নের মাধ্যমে তাদের চাকরি স্থায়ী করতে পারে রেলওয়ে। 

কেন্দ্রীয় শ্রমিক প্রতিনিধি মোহাম্মদ হোসেন বলেন, সরকারি গেজেটের আলোকে ২০১৭ সালের ৩ ডিসেম্বর রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকদের স্থায়ীকরণের প্রজ্ঞাপন জারি করে। সেই অনুযায়ী ২০১৯ সালে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু হয়। প্রায় ৭০০০ অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকের মধ্যে প্রাথমিক পর্যায়ের পশ্চিমাঞ্চলের ৯০ গেইট কিপারের চাকরি স্থায়ীকরণের জন্য কমিটি সুপারিশসহ চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেওয়া হয় জিএম পশ্চিমকে। এভাবে সব শ্রমিকদের স্থায়ীকরণ প্রক্রিয়া চলমান থাকবে। কিন্তু অজানা কারণে ২০২২ সালে এসে তা হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ শুরু করে আউটসোর্সিং পদ্ধতির পায়তারা, যা ৭০০০ শ্রমিকের প্রায় ৪০ হাজার সদস্যের পরিবারের সঙ্গে প্রতারণার শামিল।

তিনি বলেন, ২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও ৬ মাসের বাজেট বরাদ্দসহ বিগত দিনে অব্যাহতিপ্রাপ্ত সব শ্রমিকদের পুনর্বহাল না করা হলে সব অস্থায়ী টিএলআর শ্রমিকেরা আগামী ৩ সেপ্টেম্বর অবস্থান কর্মসূচি পালন করবেন। এতে ট্রেন চলাচলে বিঘ্ন হলে সে দায় কোনো শ্রমিক নেবে না। এর সম্পূর্ণ দায়ভার রেলওয়ে কর্তৃপক্ষের।

শ্রমিক প্রতিনিধি দেলোয়ার হোসেন বলেন, আমরা কর্তৃপক্ষের কাছে ১৬ জুলাইয়ের পর বারবার গিয়েছি আলোচনা করেছি আমরা শুধু আশ্বাস ছাড়া কিছু পাইনি এবং এই আশ্বাসের বাস্তবায়নের কোনো উদ্যোগও পরিলক্ষিত নয়। এতে সব শ্রমিকেরা হতাশ ও উদ্বেগ প্রকাশ করছে।

শ্রমিক প্রতিনিধি মো. শাওন বলেন, আমরা ১০ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী, রেলমন্ত্রী, শ্রম প্রতিমন্ত্রী, জনপ্রশাসন সচিব, রেলসচিবসহ রেলওয়ে মহাপরিচালককে স্মারকলিপি আকারে আমাদের চাকরি স্থায়ীকরণের প্রয়োজনীয় নথিপত্র পেশ করি। 

গেইট কিপার মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, এতটা বছর রেলে শ্রম দিলাম এখন আমাকে বাদ দিলে আমিসহ আমার সব শ্রমিক ভাইয়েরা পরিবার নিয়ে কোথায় যাবে? আমাদের যাওয়ার মতো কোনো অবস্থা নেই। এত কান্নায় রেলমন্ত্রীর মন গলে না আমাদের ন্যায্য অধিকার দেয় না। আমরা হতাশ আমাদের পরিবার নিয়ে দুমুঠো খাবার খেয়ে বেঁচে থাকতে চাই এটাই প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে শ্রমিকের আবদার।

Jamuna Electronics

Logo

সম্পাদক : সাইফুল আলম

প্রকাশক : সালমা ইসলাম