পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান বলেছেন, আমাদের দেশে পরিবর্তন হচ্ছে। সার্বিকভাবে দেশের ইতিবাচক পরিবর্তন আসছে। অস্বীকার করব না সেখানে অনেক গ্যাপ আছে। দৃশ্যমান ঘাটতি আছে। অন্যায় আছে। বাংলাদেশ সৃষ্টির তার থেকে বর্তমান সময়ে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ এসেছে। সেখানে এই পেশায় (সাংবাদিকতা) আপনারা যারা ভূমিকা পালন করছেন, আপনাদের প্রতি সমাজের এবং রাষ্ট্রের অবশ্যই অনেক দায়িত্ব আছে।
শুক্রবার রাজধানীর জাতীয় প্রেস ক্লাবের মানিক মিয়া মিলনায়তনে ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সিনিয়র সহসভাপতি কার্টুনিস্ট এমএ কুদ্দুসের সম্মানে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সভার আয়োজন করে ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতি। কার্টুনিস্ট কুদ্দুস সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদকও ছিলেন।
এ সময় সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকাস্থ রাজবাড়ী জেলা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি নুরে আলম সিদ্দিকী হক। পরিচালনা করেন সমিতির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক রিমন রহমান। এ ছাড়া আলোচনা করেন পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব আব্দুল লতিফ মোল্লা, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আকতার হোসেন, সাংবাদিক গোলাম মোর্তোজা, রওনক হাসান এবং প্রয়াত কার্টুনিস্ট এমএ কুদ্দুসের স্ত্রী তানিয়া কুদ্দুস।
সভায় এমএ মান্নান বলেন, সাম্প্রতিক সময়ে পত্র-পত্রিকায় কার্টুন কম দেখা যায়। আগে বেশি দেখা যেত। পশ্চিমা জগতে কার্টুনের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। একটি ছবি দিয়ে অনেক শব্দের চেয়েও বেশি কিছু বোঝানো যায়। আর একটা কার্টুন দিয়ে মিলিয়ন শব্দ বোঝানো যায়। এই মাধ্যমের সৃজনশীল স্রষ্টা ছিলেন এমএ কুদ্দুস। অনেকেই বলেন আমি সাংবাদিকবান্ধব, এটা আমার জন্য অত্যন্ত সম্মানের।
তিনি জানান, লাখ কোটি টাকা দিয়ে আমরা কী কাজ করছি। কেন করছি, আর যে টাকা খরচ হচ্ছে সেই টাকার মালিক জনগণ। তাই সে বিষয়ে জনগণের জানার অধিকার আছে। মানুষের জানার বাহক সাংবাদিকরা। সাংবাদিকদের কাছ থেকে আমিও জানি। আমি নিজের প্রয়োজন এবং জানার জন্য, ভালোবাসার জন্য সাংবাদিকদের সঙ্গে মেশার চেষ্টা করি।