জিল্লুর রহমানের সিজিএসের ৩ কর্মকর্তাকে জিজ্ঞাসাবাদ সিআইডির
যুগান্তর ডেস্ক
প্রকাশ: ১৪ আগস্ট ২০২৩, ১১:১২ পিএম
এবার টক শো ‘তৃতীয় মাত্রার’ উপস্থাপক জিল্লুর রহমানের প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) সাবেক ও বর্তমান তিন কর্মকর্তাকে ডেকে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)।
এর আগে ৯ আগস্ট তার ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের আর্থিক গোয়েন্দা বিভাগ বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।
সোমবার সকাল সিজিএসের সাবেক ও বর্তমান তিন কর্মকর্তাকে সিআইডি কার্যলয়ে নেওয়া হয়। বিকাল পর্যন্ত পৃথকভাবে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।
তারা হলেন- সিজিএসের সাবেক কর্মকর্তা এমিল মাইকেল বটলেরু, বর্তমান কর্মকর্তা জুলিয়ান অংকন রোজারিও ও হিমাংশু শেখর কুণ্ডু।
গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিজিএসের নির্বাহী পরিচালক জিল্লুর রহমান বলেন, ‘আমার সহকর্মীদের সিআইডি কার্যালয়ে ডেকে নিয়ে সিজিএসের আর্থিক বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাদের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছে বিদেশ থেকে অর্থসহায়তা আসে কিনা, টাকা কীভাবে খরচ হয়। আমার পারিবারিক নানা বিষয়েও তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।’
জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়ে জানতে সিআইডির মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজাদ রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই।’
এর আগে ৯ আগস্ট জিল্লুর রহমানের ব্যাংক হিসাবের তথ্য তলব করে বিএফআইইউ। এ বিষয়ে সব ব্যাংক, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছে পাঠানো চিঠিতে সিজিএসের ব্যাংক হিসাবের তথ্যও চাওয়া হয়।
এক চিঠিতে পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে জিল্লুর রহমান ও সিজিএসের ব্যাংক হিসাব, কার্ডে জমা ও উত্তোলন-সব ধরনের তথ্য চেয়েছে বিএফআইইউ। এসব হিসাবে বিদেশ থেকে অর্থ জমা হলে তার তথ্যও জানতে চাওয়া হয়েছে।
বিএফআইইউর কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রাষ্ট্রের একটি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে তাদের হিসাব তলব করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের শরীয়তপুর জেলার বাড়িতে পুলিশ তথ্য সংগ্রহে গিয়েছিল। ওই সময় জিল্লুর রহমান এক ফেসবুক পোস্টে লিখেছিলেন, পুলিশ তথ্য সংগ্রহের জন্য শরীয়তপুরে তার পৈতৃক বাড়িতে গেছে। এটা জেনে তিনি বিস্মিত হয়েছেন। তিনি ঢাকায় থাকেন, তার একটি অফিসও রয়েছে। কোনো তথ্য দরকার হলে পুলিশ সদস্যরা সরাসরি তার কাছে যেতে পারতেন বা তাকে টেলিফোন করতে পারতেন। তারপরও তারা তার পৈতৃক বাড়িতে গেছেন।
তাকে, তার পরিবার ও প্রতিবেশীদের ভয় দেখানোর জন্য এটা করা হয়েছে বলে মনে করেন জিল্লুর রহমান। এছাড়া উপস্থাপক হিসেবে তার ভূমিকা এবং সেন্টার ফর গভর্ন্যান্স স্টাডিজের (সিজিএস) কর্মকাণ্ডে প্রতিবন্ধকতা তৈরির উদ্দেশ্যে পুলিশ এটা করেছে বলেও মত তার।
এ ঘটনায় তখন উদ্বেগ জানিয়ে বিবৃতি দেন ২২ নাগরিক। বিবৃতিতে তারা বলেন, সাংবাদিক জিল্লুর রহমানের মতো একজন প্রথিতযশা ও সম্মানিত ব্যক্তির ক্ষেত্রে এমন ঘটনা অনভিপ্রেত ও উদ্বেগজনক।
তারা বলেন, জিল্লুর রহমানের এই অভিযোগ সংবিধানে উল্লিখিত রাষ্ট্র পরিচালনার মূলনীতি ও মৌলিক অধিকারগুলোর ব্যত্যয় হচ্ছে কি না এ নিয়ে জনমনে ভীতি ও শঙ্কা সৃষ্টি করেছে।